.
Published: Sat, May 18, 2019 11:12 PM
Updated: Sun, Mar 24, 2024 7:04 PM


নবীজির সংসারে ভালোবাসা যেমন ছিল | 

নবীজির সংসারে ভালোবাসা যেমন ছিল | 



আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বসে আছেন নবীজির সাথে। প্রিয়তমের সাথে সময় কাটানোর চেয়ে আনন্দ আর কিসে আছে! কিন্তু এ সময় বেরসিকের মতো কেউ একজন দরজায় করাঘাত করলেন। সাথে ভিতরে প্রবেশের জন্য অনুমতি প্রার্থনা। নবীজি চমকে উঠলেন। এ কার কন্ঠস্বর? খাদিজার কথা মনে পড়ে গেল। আগন্তুক ঘরে প্রবেশ করলেন। নবীজি তাঁকে দেখে বললেন- 'হায় আল্লাহ! এ যে হালা!'

হালা খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহার বোন। আয়েশা রাদিআল্লাহু আনহার খুব ইর্ষা হলো। নবীজি মৃত স্ত্রীকে এতটা ভালোবাসেন! স্ত্রীর জীবন ফুরিয়ে গেছে, কিন্তু স্ত্রীর জন্য স্বামীর ভালোবাসা ফুরায়নি। মৃত্যুর পরও তিনি তাকে ভুলতে পারছেন না!১.

খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহার কথা মনে পড়লে নবীজি ব্যকুল হয়ে পড়েন। অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়ে চোখ। তিনি অনেক বেশি বেশি খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহার আলোচনা করেন। আয়শা রাদিয়াল্লাহু আনহা খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহার প্রতি যতটা ইর্ষা কাতর ততটা অন্য কারো প্রতি নয়। মাঝে মাঝে তিনি নবীজিকে বলেন- 'দুনিয়াতে যেন খাদিজা ছাড়া আর কোনো নারী নেই!২.

মানুষের জীবনে ভালোবাসা একটি অপরিহার্য বস্তু।

প্রকৃতিগতভাবে মানুষের জীবন কষ্ট ও সংগ্রামের। আর কষ্ট ও সংগ্রামের ভেতর মানুষকে একদণ্ড শান্তি দিতে পারে প্রবিত্র ভালোবাসা। যে লোক ভালোবাসতে পারে না, সে লোক ভালোবাসা পায়ও না। সে হতভাগা। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসাকে তার নির্দশন বলে গণ্য করেছেন। সূরা রূমের একুশ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেন- 'আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীদেরকে সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে সে কওমের জন্য, যারা চিন্তা করে।'

নবীজির সাথে তাঁর স্ত্রীদের সম্পর্ক ছিল গভীর ভালোবাসার। প্রেমময়। আর তাদের এ ভালোবাসা হুট করেই তৈরি হয়নি। দুজন মানুষের ভালোবাসা তৈরি হয় ধীরে ধীরে। একে অপরের প্রতি সদাচরণ, ভালোবাসার প্রকাশ, হাসি-আনন্দসহ নানা উপকরণের মাধ্যমে। আসুন দেখি নবীজির সাংসারিক দিনরাত্রি।

স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ

স্ত্রীকে ভালোবাসা যেমন সুখের জন্য জরুরী। ভালোবাসাটা প্রকাশ করাও সুখের সৌন্দর্য! মদিনা শহরে সবচেয়ে প্রেমিক যে পুরুষ, তিনি নবীজি। স্ত্রীদের প্রতি ভালোবাসার কথা তিনি কথায়-আচরণে প্রকাশ করেন। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা পাত্রের যে দিকে মুখ লাগিয়ে পানি পান করেন নবীজিও সেদিকে মুখ লাগিয়ে পানি পান করেন। আয়েশা যেখানে মুখ দিয়ে হাড্ডিযুক্ত গোশত খান, নবীজিও সেখানে মুখ দিয়ে খান।৩. তিনি স্ত্রীদের মুখে লোকমা তুলে খাইয়েও দেন। আর এ ব্যাপারে তার সঙ্গীদের হাদিস শোনান- 'তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে যে লোকমা তুলে দিবে, সেটার বিনিময়েও আল্লাহ তোমাকে সওয়াব দান করবেন।৪.

স্ত্রীদের হায়েযের সময়ও তিনি তাদের কোলে মাথা রেখে শুয়ে থাকেন, কুরআন তেলাওয়াত করেন।৫. আয়েশা রা. হায়েয অবস্থায় থাকলেও তিনি আয়েশার শরীরে হেলান দিয়ে বসেন। কখনো কখনো মসজিদে নববীর জানলা দিয়ে তিনি মাথাটা আয়েশার হুজরার দিকে বাড়িয়ে দেন, আর আয়েশা তার চুল আঁচড়ে দেন।৬.

নবীজির স্ত্রী নয়জন। এতজন স্ত্রী হলে কী হবে নবীজি কারো প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করার এতটুকু সুযোগও হাতছাড়া করতেন না। তিনি প্রতিদিন একজন একজন করে সবার ঘরে যান, হাত ধরেন, চুমু খান, অন্তরঙ্গ হন, এবং সহবাসহীন স্পর্শ করেন। সবশেষে যার ঘরে রাত্রি যাপনের পালা তার ঘরে যান।'৭. নবীজি রোযা থাকাবস্থায়ও চুমু দিয়ে স্ত্রীদেরকে ভালোবাসার জানান দেন। ৮.

অন্যদের সামনে ভালোবাসার প্রকাশ

এতো গেল স্ত্রীদের সামনে ভালোবাসা প্রকাশের কথা। নবীজি অন্যদের সামনেও স্ত্রীদেরকে ভালোবাসার কথা নির্দ্বিধায় বলতেন। অথচ সকল সমাজে কেউ স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা অন্যদের সামনে প্রকাশ করলে তাকে কাপুরুষ মনে করা হয়, তাকে স্ত্রৈণ বলা হয়। কিন্তু নবীজির শিক্ষা- ভালোবাসা প্রকাশ করাটাই বরং পৌরুষ ও উত্তম পুরুষের পরিচয়।

আমর ইবনুল আস নবীজিকে জিজ্ঞেস করেন- 'আপনার কাছে সবার চেয়ে প্রিয় কে?'

নবীজি বললেন- আয়শা।

আমর বললেন- পুরুষদের মধ্যে?

নবীজি বললেন- তার পিতা। ৯.

খাদিজার ভালোবাসার ব্যাপারে নবীজি বলেন- 'আমাকে খাদীজার ভালোবাসা দান করা হয়েছে। তার প্রতি আমার ভালোবাসা আল্লাহর পক্ষ থেকে।'১০.

স্ত্রীদের জন্য অস্থিরতা,ব্যকুলতা

স্ত্রীদের জন্য নবীজির ভালোবাসা এত গভীর ছিল যে স্ত্রীদের সাথে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে নবীজি অস্থির ও ব্যকুল হয়ে পড়তেন। একবার এক সফরে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার উটনীটি হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে তাঁকে নিয়ে দৌড় দেয়। নবীজি এতে এতই অস্থির হয়ে পড়েন যে সকলের সামনেই তিনি বলে উঠেন- হায়! আমার বধূ! ১১.

স্ত্রীর প্রতি বিশ্বাস

ভালোবাসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি শর্ত হলো একে অপরের প্রতি মন্দ ধারণা না রাখা। ইফকের ঘটনার সময় পরিপূর্ণ প্রমাণ ব্যতীত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার পক্ষে রায় দেয়ার কোনো উপায় নবীজির ছিল না। কিন্তু প্রিয়তমার চরিত্রের প্রতি তাঁর কোনো মন্দ ধারণা ছিল না আর তা তিনি নির্দ্বিধায় বলে দেন। সেদিনের এক ভাষণে নবীজি বলেন- 'হে মুসলমানরা! যে আমার স্ত্রীর উপর মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাকে কষ্ট দিয়েছে, তোমাদের মধ্যে কে আছো তার আক্রমণ থেকে আমাকে বাঁচাতে পারবে? আল্লাহর শপথ! আমি আমার স্ত্রীদের মধ্যে কোনো দোষ দেখতে পাইনি, না সেই লোকটির মধ্যে যার সম্পর্কে অভিযোগ তোলা হয়েছে। আমার অনুপস্থিতির সময় সে তো কখনোই আমার ঘরে আসেনি।'

স্ত্রীর প্রতি বিশ্বাস রাখা এবং তাকে সন্দেহ না করার ব্যাপারে নবীজি বলেছেন- 'কোনও পুরুষ যেন রাতের বেলা না বলে আচানক ঘরে এসে উপস্থিত না হয়, স্ত্রীর দোষ ধরার উদ্দেশ্যে।' ১২.

স্ত্রীদের খুশি করার চেষ্টা করা।

নবীজি স্ত্রীদের খুশির জন্য অনেক কিছু করতেন। তারা যা চাইতেন সাধ্য থাকলে তাই দেয়ার চেষ্টা করতেন। স্ত্রীদের খুশির জন্য তাঁর প্রিয় খাবার মধু হারাম করার ঘটনাটি তো বিখ্যাত।১৩. আত তাহরীমের আয়াতে আল্লাহ বলেন- 'হে নবী, আল্লাহ আপনার জন্য যা হালাল করেছেন, আপনি আপনার স্ত্রীদেরকে খুশি করার জন্য তা হারাম করেছেন কেন?'

স্ত্রীদের মনে যেন কষ্ট না লাগে,এ ব্যাপারে সতর্কতা।

মধু হারাম করার ঘটনার আরেকটি দিক হলো স্ত্রীদের মনে এতটুকুও যেন কষ্ট না পান সে ব্যাপারে নবীজির সতর্কতা। নবীজি মধু হারাম করার ব্যাপারটি মধু সংশ্লিষ্ট স্ত্রীদের গোপন রাখতে বলেন যেন মধু পরিবেশনকারী স্ত্রী এতটুকুও কষ্ট না পান।

স্ত্রীর বন্ধু-বান্ধব ও প্রিয়জনের খোঁজখবর রাখা।

নবীজি খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহার মৃত্যুর পরও তার প্রিয়জনের খোঁজখবর রাখতেন। কোনো কোনো সময় বকরি যবেহ করলে তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তিনি খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহার বান্দবীর জন্য পাঠিয়ে দিতেন।

নতুন বউকে সহজ হওয়ার সুযোগ দেয়া।

উম্মে সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহা ছিলেন লজ্জাবতী ও প্রখর আত্মমর্যাদাসম্পন্ন মহিলা। নবীজির সাথে বিয়ের পর প্রথমদিকে তিনি নবীজিকে খুবই লজ্জা পেতেন। যখনই নবীজি তার কাছে আসতেন তিনি তার পূর্বের স্বামীর ঘরের কন্যা ছোট্ট যায়নাবকে দুধপান করাতে শুরু করতেন। এ অবস্থা দেখে নবীজি ফিরে যেতেন। তিনি এজন্য রাগ করেননি, জোর করেননি, কিছু বলেনও নি।

আম্মার ইবনে ইয়াসির ছিলেন উম্মে সালমার দুধভাই। তিনি এ কথা জানতে পেরে বোনের সাথে রাগ করেন এবং যায়নাবকে তার কাছে নিয়ে যান। এরপর নবীজি একদিন তার ঘরে আসেন এবং এদিক ওদিক তাকাতে থাকেন। শিশু মেয়েকে না দেখে জিজ্ঞেস করেন- 'যায়নাব কোথায়? তাকে কী করেছো?'

তিনি জবাব দেন- 'আম্মার এসে নিয়ে গেছে।'

সেদিন থেকে নবীজি অবস্থান করতে থাকেন।১৪.

স্ত্রীর প্রশংসা করা।

মানুষ প্রশংসা ভালোবাসে। স্বীকৃতি চায়। নবীজি তাঁর প্রিয়তমাদের প্রশংসা করতেন।

একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুহাজিরদের মধ্যে গনীমতের মাল বন্টন করছিলেন। মাঝখানে যায়নাব বিনতে জাহাশ রাদিয়াল্লাহু আনহা তাকে কিছু বললে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূলের অসুবিধা হবে ভেবে রেগে গিয়ে তাঁকে কিছু বলে উঠেন। নবীজি সাথে সাথে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুকে নিষেধ করেন যায়নাব রাদিয়াল্লাহু আনহাকে কিছু বলতে। এরপর তাঁর প্রশংসা করে বলেন- 'সে একজন বড় আবিদা ও জাহিদা মহিলা।'১৫.

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার প্রশংসা করতে গিয়ে নবীজি বলেন- সারীদ যেমন সমস্ত খাবারের তুলনায় শ্রেষ্ঠ, আশেয়াও তেমনি অন্য নারীদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ।১৬.

স্ত্রীর জন্য সাজসজ্জা।

নবীজি এমনিতেই সুন্দর ও পরিপাটি থাকতে পছন্দ করতেন। সবসময় সুগন্ধি ব্যবহার করতেন। তবে স্ত্রীদের কাছে যাওয়ার আগে বিশেষভাবে নিজেকে সুন্দর-সুগন্ধিময় করে নিতেন। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেছেন- 'আমি নবীজির চুলের সিঁথিতে ইহরাম বাঁধা অবস্থায়ও মিশকের সাদা অবশিষ্টাংশ দেখেছি।১৭.

স্ত্রীদের সাজসজ্জার সুযোগ দেয়া।

নবীজি সফর থেকে এসেই হুট করে ঘরে চলে যেতেন না। স্ত্রীদেরকে সাজগোজ করার সুযোগ দিতেন। প্রস্তুতি নেয়ার সময় দিতেন। জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন- আমরা এক সফর থেকে মদীনায় ফেরার পর ঘরে যেতে উদ্যত হলে নবীজি বললেন- অপেক্ষা করো। স্ত্রীদেরকে সুযোগ দাও। রাতের দিকে ঘরে যেয়ো। স্ত্রীগণ এর মধ্যে প্রস্তুতি নিতে পারবে। ১৮.

স্ত্রীকে গল্প শোনানো ও শোনা সুন্নত।

নবীজি সুযোগ পেলেই স্ত্রীদেরকে গল্প শোনাতেন। 'উম্মে যরা'-এর গল্পটাতো বিখ্যাত।

নবীজি গল্প শুনতেনও। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা একবার আরবের এগারো সহোদরার একটি দীর্ঘ কাহিনী নবীজিকে শোনান। নবীজি অত্যন্ত ধৈর্য সহকারে তার গল্প শোনেন। ১৯.

স্ত্রীকে আদর করে ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকা।

নবীজি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে আদর করে 'হুমায়রা-লাল টুকটুকে' বলে ডাকতেন।

জুওয়াইরিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহার প্রথম নাম ছিল বাররা। নামটির মধ্যে কিছুটা আত্মপ্রশস্তির ভাব বিদ্যমান থাকায় তাতে নবীজি অশুভ ও অকল্যাণের ইঙ্গিত দেখে তা বদলে জুওয়াইরিয়া রেখে দেন।২০.

নবীজি ছিলেন এক আশ্চর্য মহাপুরুষ। সংসার জীবনেও তিনি তার সাক্ষর রেখে যান। দেড় হাজার বছর পূর্বে জন্মগ্রহণ করেও তিনি আজকের সমাজের চেয়ে বেশি আধুনিক ছিলেন। জগতের সবচেয়ে সুসভ্য মানুষ ছিলেন। তিনি মনে করতেন না 'সংসার সুখের হয় শুধু রমনীর গুণে' আর পুরুষের গুণের প্রয়োজন নেই। দেড়হাজার বছর পূর্বেই নবীজি সময় ও সমাজের প্রচলিত ধ্যান-ধারণা ও প্রথার উর্ধ্বে উঠে মানুষকে সংসার সুখের করার জন্য স্ত্রীদের শুদ্ধভাবে ভালোবাসার আদর্শ শিক্ষা দিয়ে যান।

যোগাযোগ 
তাসলিমা ম্যারেজ মিডিয়া 
উত্তরা ,আজমপুর 
বি এন এস সেন্টার 
রুম ৯২৩ ,লিফ্ট ০৯ 
০১৯৭২০০৬৬৯৩
e-mail : somataslimamedia@gmail.com
web site : www.taslimamarriagemedia.com

Some of our post that can help you know about Bangla Matrimonial site. Please read here....

 

What happen when you get married
What happen if you get married in time
How could you find the perfect match
Matrimonial website in Bangladesh
Looking For bride in Bangladesh
The Proposal Styles in Bangladesh
4 Important steps that you need to take when you get married
Emotionally Intelligent Husbands Are Key to a Long Lasting Marriage

 

Related post....
Looking for bride in Dhaka
Matchmaker website in Bangladesh
Matrimonial Website in Bangladesh

Matrimonial's Website Bangladesh
Islamic Matrimonial website service
Bangla Wedding Website


Register now to talk with your life parner.   Do you have account?   Login  
Categories: Life Style,
Tags: matrimony, matrimonial life, Bangla Matrimonial, Bangla Marriage, Bangla Marriage Website, Bangla Matchmaker, Bangla Matchmaker website, Bangladeshi marriage site, Bangladeshi Marriage Media, Bangla matrimonials
Division: Khulna
District: Chuadanga
Thana: Chuadanga-S
This post read 1724 times.
Taslima Marriage Media Blog


Suggested Posts