ভ্যালেন্টাইন’স উইক- ভালোবাসার সপ্তাহ নিয়ে এই কন্টেন্টটি সম্পূর্ণ তাসলিমা ম্যারেজ মিডিয়ার নিজস্ব। তাসলিমা ম্যারেজ মিডিয়ার পূর্ববর্তী অনেকগুলো ব্লগ হুবহু কপি করে অনেক ম্যাট্রিমনি সাইটে পাবলিশ করা হয়েছে, এ ব্যাপারটি আমাদের নজরে এসেছে। উক্ত ম্যাট্রিমনি সাইটের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ব্লগের সম্পূর্ণ বা আংশিক অংশ কপি করে অন্য কোনো সাইট বিশেষ করে যেকোনো ম্যাট্রিমনি ব্লগে পাবলিশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুরু হয়ে গেছে ভ্যালেন্টাইন’স উইক বা ভালোবাসার সপ্তাহ। সারা বিশ্বের মানুষ ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসার সপ্তাহ এ বিশেষ দিন পালন করে থাকেন। ৭ ফেব্রুয়ারি হ্যাপী রোজ ডে বা গোলাপ দিবস দিয়ে এই পর্বের সূচনা হয় আর শেষ হয় ভালোবাসার সপ্তাহটি শেষ হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস এর মধ্য দিয়ে। ভ্যালেন্টাইন‘স উইক এর হিসাবে রোজ ডে এর পর ৮ ফেব্রুয়ারি হ্যাপী প্রপোজ ডে, ৯ ফেব্রুয়ারি হ্যাপী চকোলেট ডে, ১০ ফেব্রুয়ারি হ্যাপী টেডি ডে, ১১ ফেব্রুয়ারি হ্যাপী প্রমিজ ডে বা প্রতিশ্রুতি দিবস, ১২ ফেব্রুয়ারি হ্যাপী হাগ ডে, ১৩ ফেব্রুয়ারি হ্যাপী কিস ডে বা চুম্বন দিবস এবং সবশেষে ১৪ ফেব্রুয়ারি সবার অতি পরিচিত ভ্যালেন্টাইন‘স ডে বা ভালোবাসা দিবস।
ভালোবাসার সপ্তাহ এর প্রতিটি দিন প্রেমের এক একটি প্রতীককে সামনে রেখে আদতে প্রেমের উদযাপন করা হয়। তাই বলে শুধু একটি দিন বা একটি সপ্তাহ ভালোবাসার জন্য অবশ্যই নয়। আজকের আর্টিকেলে ভ্যালেন্টাইন’স উইক বা ভালোবাসার সপ্তাহ এর ৭টি দিনগুলো প্রিয়জনের সাথে কিভাবে সুন্দরভাবে কাটাতে পারেন সেটা নিয়ে আলোচনা করবো।
৭ ফেব্রুয়ারি- হ্যাপী রোজ ডে বা গোলাপ দিবস
রোজ ডে দিয়েই শুরু হয় ভ্যালেন্টাইন’স উইক বা ভালোবাসার সপ্তাহ। গোলাপ হলো সৌন্দর্য ও ভালবাসার প্রতীক। রোজ ডে এর পেছনে লুকিয়ে আছে চমৎকার কিছু গল্প। যেমন, ইংরেজি ‘রোজ’ শব্দটির অক্ষরগুলো কিছুটা এলোমেলো করলে তা হয় ‘ইরোজ’। ইরোজ হলেন ভালোবাসার দেবতা। আবার, গ্রিক মিথোলজিতে বলা হয়ে থাকে যে লাল গোলাপ ছিলো দেবী ভেনাসের প্রিয় ফুল। ভেনাস ছিলেন ভালোবাসার দেবী।
আদর্শ জীবনসঙ্গী খুঁজতে
তবে রোজ ডে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম নামকরণ করেন ডেনমার্কের রানি আলেকজান্দ্রা। ৫০তম বিবাহবার্ষিকীতে আলেকজান্দ্রা লন্ডনে আসলে লন্ডনের অধিবাসীরা তাকে হাজার হাজার লাল গোলাপ দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। আলেকজান্দ্রা সেই হাজারখানেক গোলাপ বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে দরিদ্র ও অসুস্থ মানুষদের প্রতি ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিতে বললেন। লাল গোলাপ দিয়ে রানি আলেকজান্দ্রার মুখে হাসি ফোটানোর জন্য পালিত হয় বিশেষ রোজ ডে।
ভালবাসার ভাষা বুঝতে ও বোঝাতে পারে গোলাপ। তাই উপহার হিসেবে গোলাপের চাহিদা এখন সবার উপরে। তবে রঙ অনুযায়ী গোলাপের নানা মাহাত্ম্য আছে। অর্থাৎ লাল, হলুদ, সাদা বা গোলাপি বিভিন্ন রঙের সঙ্গেই বদলে যায় গোলাপের ভাষা ও আবেদন। লাল গোলাপ হলো অকৃত্রিম ভালোবাসার প্রতীক। তাই রোজ ডে তে প্রেমিক প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীরা ভালোবাসার প্রকাশস্বরূপ একে অপরকে লাল গোলাপ উপহার দেন।
জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পর্কের প্রতীক হলুদ গোলাপ। বন্ধু-বান্ধবরা একে অপরকে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে হলুদ রঙের গোলাপ দেয়। কাউকে মিস করলে আপনি তাকে সাদা গোলাপ দিতে পারেন। কমলা গোলাপ হলো আবেগ, উৎসাহ আর উদ্দীপনার প্রতীক। কাছের মানুষটিকে কমলা গোলাপ উপহার দিয়ে বোঝাতে পারেন যে আপনি পাশে আছেন।
৮ ফেব্রুয়ারি- হ্যাপী প্রপোজ ডে
ভালোবাসার সপ্তাহ এর ৮ ফেব্রুয়ারি হলো হ্যাপী প্রপোজ ডে বা মনের কথা বলার দিন। প্রেম বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রেমের সম্পর্ক আর বিয়ের প্রস্তাব দিতে প্রপোজ ডে এর চেয়ে সুন্দর দিন আর হয় না। সুতরাং যারা এখনও পর্যন্ত পছন্দের মানুষকে জানিয়েই উঠতে পারেননি নিজের ভালোবাসার কথা, এই দিনটি হল তাদের কাছে সবচেয়ে ভালো সুযোগ। কিন্তু শুধু মুখে ‘আই লাভ ইউ’ বা ‘আমি তোমাকে ভালোবসি’ বলে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়া এখন অনেকটা পুরাতন হয়ে গেছে।
যদিও অনেকে বলেন, প্রেমের প্রস্তাব দেয়ার জন্য আলাদা ঋতু, কিংবা বিশেষ দিন লাগে না। তবে আমি বলি যে, প্রেম নিবেদনের জন্য একটি বিশেষ দিন প্রেমের মহিমাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। আর সবাই চায় তার পছন্দের মানুষটিকে বিশেষভাবে প্রেমের প্রস্তাব দিতে। তাই প্রপোজ ডে একটু বিশেষ ভাবে পালন করা উচিত। প্রপোজ ডে তে গোলাপ, চকলেট কিংবা একটি গ্রিটিং কার্ডে জানাতে পারেন আপনার প্রেমের প্রস্তাবটি।
প্রপোজ ডে তে প্রপোজ করার জন্য প্রিয়জনকে নিয়ে যেতে পারেন দুজনেরই পছন্দের কোনো জায়গায়। ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম বা টিকটকের এই যুগেও প্রপোজ করার মাধ্যম হিসেবে চিঠির আবেদন অমলিন। কাছের মানুষটিকে নীল খামে পাঠিয়ে দিতে পারেন আপনার ভালোবাসার বার্তা আর সেই সাথে খামে থাকবে সুগন্ধি আর ফুলের পাপড়ি।
সরাসরি প্রপোজ করতে চাইলে সুন্দর একটা আংটি কিনতে ভুলে যাবেন না। প্রপোজ করার জন্য দামী আংটি অত্যাবশ্যক নয়। একটা নতুন সম্পর্ককে বাঁধার অদ্ভুত সুন্দর প্রতীক হলো আংটি। প্রথমে প্রিয়জনকে চোখ বন্ধ করতে বলুন। তার হাতে পরিয়ে দিন আংটিটি। তারপর চোখ খুলতে বলুন। এরপর দেরি না করে ‘আই লাভ ইউ’ অথবা ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ কিংবা ‘উইল ইউ ম্যারি মি’ কথাটি দেরি না করে বলে ফেলুন।
৯ ফেব্রুয়ারি- হ্যাপী চকোলেট ডে
রোজ ডে আর প্রপোজ ডে এর পরে ভালোবাসার সপ্তাহ এ আসে হ্যাপী চকোলেট ডে। একগুচ্ছ গোলাপের সাথে ভালোবাসার সপ্তাহ এর তৃতীয় দিনটি উদযাপিত হয় এক বাক্স চকোলেট নিয়ে। মনের মানুষকে খুশি করতে এবং প্রেমের গভীরতা বাড়াতে প্রিয় মানুষটিকে চকোলেট গিফট করা হয় এই দিনে। যে কোনো শুভ কাজ বা সম্পর্কের শুরু মিষ্টিমুখ দিয়ে করা উচিত। তাই এ দিনে নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে চকোলেট উপহার দিয়ে সম্পর্ক শুরু করার চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারে না।
তবে শুধু উপহার হিসেবে নয়, চকোলেটের গুণে সম্পর্ক হয়ে ওঠে মিষ্টি-মধুর। আবার শুধুমাত্র প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রী নয়, বন্ধুদের মধ্যেও চকোলেট ডে উদযাপন হয়। চকোলেট যেমন অভিমান ভাঙতে পারে, তেমনই পারে সম্পর্ক মধুর করতে।
প্রাচীন অ্যাজটেকদের সময়কাল থেকে চকোলেটকে আধ্যাত্মিক প্রজ্ঞার বিষয় হিসেবে বিয়ের উৎসবে ব্যবহার করা হতো। চকলেটে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস রয়েছে, যা উদ্দীপক, দুশ্চিন্তা নিরোধকের কাজ করে। চকোলেট মহিলাদের হার্ট ভাল রাখতে সাহায্য করে। ডার্ক চকোলেট খেলে মিষ্টি, নোনতা, ফ্যাটজাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে।
ডার্ক চকোলেটের মধ্যে থাকা ফ্ল্যাভনয়েড রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতেও সাহায্য করে। আর চকোলেটের ফ্লাভনলের মধ্যে সূর্যরশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করার ক্ষমতা রয়েছে যার কারণে টানা তিন মাস চকোলেট খেলে ত্বক রোদে পোড়ার হাত থেকে রক্ষা পায়। তাই ভালবাসার মানুষকে চকোলেট উপহার দিন। এছাড়া কাছের মানুষটির দুশ্চিন্তা নিরোধের জন্য আপনিও এক বাক্স চকলেট উপহার দিতে পারেন।
১০ ফেব্রুয়ারি- হ্যাপী টেডি ডে
চকোলট ডে এর পরদিন আসে হ্যাপী টেডি ডে। ভালবাসার উপহার হিসেবে গিফট কার্ড, আংটিসহ দারুণ জনপ্রিয় টেডি বিয়ার। টেডি বিয়ার এর জন্মের পিছনে রয়েছে এক দারুণ গল্প। ১৯০২ সালের নভেম্বর মাসে মিসিসিপিতে শিকারে বেরিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডর রুজভেল্ট। অনেকক্ষণ খুঁজেও সে দিন ভাল শিকার পাননি রুজভেল্ট। তখন প্রেসিডেন্টকে খুশি করতে তাঁর সঙ্গীসাথীরা ধরে আনেন এক লুসিয়ানিয়া কালো ভাল্লুকের ছানা। কিন্তু গাছের গুঁড়িতে বেঁধে রাখা ভাল্লুক ছানার উপর গুলি চালাতে মন চায়নি রুজভেল্টের। ছোট্ট ছানাটিকে ছেড়ে দেন তিনি।
এরপর আমেরিকার মরিস মিচটম প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টকে উৎসর্গ করে টেডি বিয়ার বাজারে আনেন। স্বাভাবিকভাবেই অল্প কিছু দিনের মধ্যেই বাচ্চাদের মাঝে টেডির বিয়ার এর হিড়িক পড়ে যায়। বিশ শতকের সেই টেডি বিয়ারের রূপ অনেক পাল্টেছে। কিন্তু টেডির প্রতি ভালোবাসাটা রয়ে গেছে ঠিক আগের মতোই। ভালোবাসার মানুষটিকে ভালোবাসার জিনিসটি দেওয়ার জন্যই পালন করা হয় হ্যাপী টেডি ডে।
ভালোবাসার সপ্তাহ এর এই বিশেষ দিনে বাজারে হরেক সাইজের টেডি বিয়ার পাওয়া যায়। উপহার হিসেবে মেয়েরা টেডি বিয়ার বেশি পছন্দ করে। আপনিও না হয় একটা টেডি বিয়ার দিয়ে ভালোবাসার বার্তাটা পৌঁছে দিন প্রিয়জনকে। দেখবেন, আপনার প্রেমিকা এতে চমকে গেলেও মনে মনে খুশি হবেন। আর আপনার অবর্তমানে এই টেডিই কিন্তু আপনাকে আপনার ভালোবাসার মানুষটির নিকটে রাখবে। নরম, তুলতুলে টেডিকে জড়িয়ে ধরলে আপনি স্মৃতিচারণ করতে পারবেন উপহারদাতার। আপনার প্রিয় সন্তানকেও উপহার হিসেবে টেডি দিতে পারেন।
১১ ফেব্রুয়ারি- হ্যাপী প্রমিজ ডে বা প্রতিশ্রুতি দিবস
’তোমার জন্য আমার আছে ভালবাসায় ভরা একটি হৃদয়, তোমার জন্য তৃষ্ণায় ভরা চোখ আর তোমার চিন্তায় ভরা মন। প্রমিজ করছি তোমাকে আমার কাছ থেকে কখনই যেতে দেব না। আমি তোমাকে সবসময় ভালো রাখার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। হ্যাপী প্রমিজ ডে।’
প্রমিজ ডে তে উপরের এই ম্যাসেজ টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভালোবাসার সপ্তাহ এর গুরুত্বপূর্ণ দিন হলো ৯ ফেব্রুয়ারি প্রমিজ ডে বা প্রতিশ্রুতি দিবস। পরস্পরের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলে সেই ভালোবাসাটা টিকে থাকার সম্ভাবনা বেশি। তাই এই দিনটি প্রত্যেক প্রেমিক প্রেমিকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। নতুন সম্পর্কে জড়ানোর আগে একে অপরকে অপরের প্রতি প্রতিশ্রুতি করার দিন। একজন প্রেমিক তার প্রেমিকাকে প্রতিশ্রুতি দিবে, অপরদিকে প্রতিশ্রুতি নিবে।
নিজেদের সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে পরস্পরের প্রতি প্রতিশ্রুতি বা কমিটমেন্টের চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারে না। সুন্দর একটি সম্পর্ক মানেইতো প্রতিশ্রুতি, অঙ্গীকার আরবিশ্বাস। এই প্রতিশ্রতিগুলোই সম্পর্ককে সুন্দর করে তোলে। তাই জীবনে আনন্দ পেতে হলে সবচেয়ে প্রয়োজন নিজেকেই কিছু প্রতিশ্রুতি দেওয়া, সেই প্রতিশ্রুতি মেনে চলা। তাহলেই বাড়বে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস।
যদি নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায় বা সঙ্গীর সঙ্গে মনোমানিল্য হয়ে থাকে, তা হলে কিন্তু সহজেই প্রমিজ ডে তে প্রিয়জনকে প্রমিস করলে তার মন ভালো হয়ে যেতে পারে এবং আপনার প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা জন্মাতে পারে। এতে সম্পর্ক ভালো থাকবে এবং মন-মানসিকতাও ভালো থাকবে।
প্রমিজ ডে তে মনে রাখতে হবে, এমন কোনও প্রতিশ্রুতি বা কমিটমেন্ট করা যাবে না, যা পালন করা অসম্ভব। সুখে রাখার প্রতিশ্রুতির চেয়ে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রমিজ ডে তে প্রতিশ্রুতি হওয়া উচিত সুখ দুঃখে সবসময় একই সাথে থাকবেন, কখনো একে অপরকে ছেড়ে যাবেন না।
১২ ফেব্রুয়ারি- হ্যাপী হাগ ডে
ভালোবাসার সপ্তাহ এর ৫ম দিনটি হলো হ্যাপী হাগ ডে। এদিনটি হলো প্রিয়জনকে আলিঙ্গন করার দিন। সারা বছর হাগ ডে বা আলিঙ্গন দিবসের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন প্রিয়জনেরা। সম্পর্কে উদ্বেগ, সন্দেহ বা টানাপোড়েন– এ সবই মিনিটের মধ্যে দূর করতে পারে একটি গভীর ও উষ্ণ আলিঙ্গন। হাগ ডে বা আলিঙ্গন দিবসের গুরুত্ব এখানেই।
শৈশবে মা-বাবার আদর থেকে শুরু করে, বন্ধুর হাত ধরে বন্ধুত্ব এবং সবশেষে জীবন সঙ্গীটির হাত ধরা, সবকিছুই আমাদের এক অন্যরকম অনুভূতি দেয়। যখন আমাদের মন খারাপ করে, তখন আমরা চাই প্রিয় মানুষটিকে জড়িয়ে ধরতে। হাগ ডে তে আপনার প্রিয় মানুষটির একাকিত্বটা সরিয়ে দিতে আপনি না হয় তাকে একটি আলিঙ্গন করলেন। দেখবেন তার সমস্ত দুশ্চিন্তা বা মানসিক অবসাদ দূর হয়ে যাবে।
আমরা যখন কখনও কাউকে জড়িয়ে ধরি বা আলিঙ্গন করি তখন আমাদের মধ্যে অক্সিটসিন হরমোন নিঃসারণ হয়। এই হরমোন আমাদেরকে মানসিকভাবে সুখী রাখে। এই হরমোন সামাজিক বন্ধন বাড়াতেও সাহায্য করে। হাগ করা বা জড়িয়ে ধরা মনই নয়, শরীরকেও ভালো রাখতে সাহায্য করে। প্রিয় মানুষকে জড়িয়ে ধরা প্রতি মিনিটে হার্টের গতিবেগ বাড়িয়ে তোলে অন্তত ১০ বিট।
প্রিয়জনের জড়িয়ে ধরা মানসিকভাবে ভালো রাখে আর আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলে অকারণে ভয় পাওয়া কমিয়ে দেয়। তাই ভালোবাসার সপ্তাহ এ হ্যাপী হাগ ডে তে তো বটেই, পাশাপাশি প্রতিদিনই প্রিয়জনকে রাখুন ভালোবাসার উষ্ণ আলিঙ্গনে।
১৩ ফেব্রুয়ারি- হ্যাপী কিস ডে বা চুম্বন দিবস
ভালোবাসার সপ্তাহ এর পরের দিনটি হলো হ্যাপী কিস ডে বা চুম্বন দিবস। প্রাচীনকাল থেকে ভালোবাসার গভীরতা বা অন্তরঙ্গতা আমরা চুম্বনের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। ভালোবাসার সম্পর্কের মধ্যে একটুকু আলিঙ্গন বা চুম্বনের জন্য জন্য মাঝে-মাঝে আকুলি-বিকুলি করে উঠে মন। তাই ভালোবাসার সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো চুমু বা কিস। প্রেমের সম্পর্কে অজস্র কথা যা প্রকাশ করতে পারে না তা সহজভাবে বুঝিয়ে দিতে পারে একটি আলতো চুমু।
সেক্স বা রোমান্সের সময় চুম্বন ছাড়াও আরও বিভিন্ন সময়ে প্রিয়জনেরা একে অপরকে চুম্বন করেন। পিতামাতা বা গুরুজনরা তাদের সন্তানদের ভালবাসা প্রকাশে চুমু খেয়ে থাকেন। বিভিন্ন দেশের নেতারা পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য এই চুমুর ব্যবহার করতেন বা এখনও করে থাকেন। আবার ইউরোপ ও আমেরিকায় বন্ধুত্বের বন্ধন দৃঢ় করতে এই চুম্বনের ব্যবহার হয়ে থাকে।
বিভিন্ন চুমুর অর্থ জানা আছে কি আপনার? শুনুন তাহলে! প্রথমেই আসে এসকিমো কিস এর নাম। এসকিমো কিস করার সময় যদি পরস্পরের নাক ঘষাঘষি হয়। এই কিস খুবই স্নেহপ্রবণ। এরপরে সবার পরিচিত ফ্রেঞ্চ কিস। নিজেদের প্যাশন ও রোমান্স বোঝানোর জন্য সবচেয়ে ভালো হচ্ছে ফ্রেঞ্চ কিস। এই কিসের মতই আরেকটা হলো সিঙ্গল লিপ কিস। এই চুম্বনে একটা ঠোঁটের উপর একটা রেখে স্যান্ডউইচ করা হয়।
ইয়ারলোব কিস হচ্ছে সবচেয়ে রোমান্টিক ও অন্তরঙ্গ। আবার চুমুর সময় খুব কাছাকাছি চলে এলে পরস্পরের চোখের পাতা একে অপরকে ছুঁয়ে থাকে। একে বলা হয় বাটারফ্লাই কিস। আর সবশেষে চোখের পাতায় আলতো চুম্বনকে বলা হয় এঞ্জেল কিস। এই চুমুর অভিব্যক্তিতে গভীর ভালবাসা ও স্নেহ জড়িয়ে রয়েছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি- হ্যাপী ভ্যালেন্টাইন‘স ডে বা ভালোবাসা দিবস
সবশেষে আসে ভালোবাসার সপ্তাহ এর কাঙ্ক্ষিত ভালোবাসা দিবস। ভালোবাসা দিবসের ইতিহাসটি অনেকেরই জানা। গল্পটি শুরু হয়েছিল ২৬৯ খ্রিস্টাব্দে। রোমের চিকিৎসক তরুণ যাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের চিকিৎসায় দৃষ্টি ফিরে পেয়েছিল নগর জেলারের দুহিতা। পরে দুজনের ভালোবাসার সৃষ্টি হয়। আর তারপর থেকে জন্ম নিয়েছিল তাদের ভালোবাসার অমরগাঁথা। ভালোবাসার অপরাধে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে ফাঁসিতে ঝুলতে হয় ফেব্রুয়ারির এই ১৪ তারিখে। ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে রোমের রাজা পপ জেলুসিয়াস এই দিনটিকে ভ্যালেন্টাইন দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন।
ভালোবাসার সপ্তাহ এর অন্যান্য দিনগুলো না হলেও অন্তত এই দিনটাতে প্রেমিক-প্রেমিকারা নিজেদের মতো করে উদযাপন করেন। এই দিনে অনেকেই তাদের ভালোবাসার মানুষকে ফুল, চিঠি, কার্ড, গহনা, টেডি প্রভৃতি উপহার প্রদান করে দিনটি উদযাপন করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক হারে ভ্যালেন্টাইন’স কার্ড বিনিময় শুরু হয় ১৮৪৭ সালে ম্যাসাসুয়েটসের অরকেস্টারে। যুক্তরাজ্যে মোট জনসংখ্যার অর্ধেক প্রায় ১০০ কোটি পাউন্ড ব্যয় করে এই ভালোবাসা দিবসের জন্য কার্ড, ফুল, চকলেট, অন্যান্য উপহারসামগ্রী ও শুভেচ্ছা কার্ড ক্রয় করতে।
ভালোবাসার সপ্তাহ এর ভালোবাসা দিবসে আপনার সঙ্গীর জন্য সারপ্রাইজ প্ল্যান করতে পারেন। পার্টনারকে জানাতে পারেন যে, আপনার জীবনে সে কতটা জায়গা জুড়ে আছে, আপনার কাছে সে কতটা স্পেশাল। ভালোবাসা দিবসে আপনার প্রিয়জনকে মনে রাখার মতো সবচেয়ে সুন্দর উপহারের আইডিয়া পাবেন এখানে ক্লিক করে।
সবশেষে ভ্যালেনটাইন’স উইক বা ভালোবাসার সপ্তাহ
বাংলাদেশে এখন ভালোবাসার সপ্তাহ সারা বছরের অপরিচিত শব্দ নয়। তরুণ সমাজ এই দিনগুলোকে এখন বেশ উচ্ছাসের সঙ্গেই পালন করছে। ভালোবাসার সপ্তাহ এ তাই ভালোবাসার মানুষটির বা মানুষগুলোর সাথেই থাকুন, তাদের সাথেই উপভোগ করুন নববসন্তের প্রকৃতি।
কল করুনঃ+880-1407-004393 অথবা +88-01782-006615 এ।
আমাদের মেইল করুন taslima55bd@gmail.com
buy medicines online in india http://indiaph24.store/# online shopping pharmacy india
world pharmacy india
reputable mexican pharmacies online: buying prescription drugs in mexico – buying from online mexican pharmacy
pharmacies in mexico that ship to usa: mexican pharmacy – mexican pharmacy
india pharmacy mail order http://indiaph24.store/# top 10 pharmacies in india
indian pharmacy online