শীত ও গরমে মেয়েদের চুলের যত্ন নেওয়ার ঘরোয়া উপায় নিয়ে এই কন্টেন্টটি সম্পূর্ণ তাসলিমা ম্যারেজ মিডিয়ার নিজস্ব। তাসলিমা ম্যারেজ মিডিয়ার পূর্ববর্তী অনেকগুলো ব্লগ হুবহু কপি করে অনেক ম্যাট্রিমনি সাইটে পাবলিশ করা হয়েছে, এ ব্যাপারটি আমাদের নজরে এসেছে। উক্ত ম্যাট্রিমনি সাইটের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ব্লগের সম্পূর্ণ বা আংশিক অংশ কপি করে অন্য কোনো সাইট বিশেষ করে যেকোনো ম্যাট্রিমনি ব্লগে পাবলিশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিনেমার পর্দায় যখন আমরা কোন সুন্দরী নায়িকা-কে তখন তার অপরূপ চুল থেকে দৃষ্টি সরানো কষ্টকর হয়ে যায়। এমন চুল দেখলে সব মেয়েই মনে মনে ভাবে, ”ইশ! আমারও যদি থাকত এমন লম্বা, সিল্কি ও উজ্জ্বল চুল।” অনেকে চুলের অতিরিক্ত স্টাইল করতে কিছু ভুল করে বসেন যার জন্য চুলের ড্যামেজ বেড়ে যায়। আর আমাদের দেশের যে আবহাওয়া তাতে চুলকে সুস্থ রাখতে পারাটাই একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ! আজকের আর্টিকেলে শীত ও গরমে মেয়েদের চুলের যত্ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
গরমে চুলের যত্ন নেওয়ার ঘরোয়া উপায়
মেয়েদের ত্বক নিয়ে যতটা না চিন্তা কাজ করে, তার চেয়ে চুল নিয়ে চিন্তা হয় বেশি। কারণ গরমের কারণে ঘাম জমে স্ক্যাল্পের ক্ষতি হয়, সেইসঙ্গে ধুলোবালি লেগে চুলে ড্যামেজ হয় আরও বেশি। গরম এলেই চুলের আগাফাটা আর রুক্ষতা বেড়ে যায় অনেক। আবার তেল-চিটচিটে ঘাম ও বাতাসের ধুলাবালু মিশে চুলে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসের সংক্রমণ হয়ে চুলে দেখা দেয় খুশকি, বা স্ক্যাল্পে ফুসকুড়ি। সেই সঙ্গে চুল পড়তে থাকে।
গরমে যেসব মেয়েদের চুল লম্বা তাদের সমস্যাটা বেশি হয়। বেড়ে যায়। চুলে ঘাম বসে গিয়ে জ্বর বা সর্দি হওয়ার তীব্র সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যায়। তাই গরমের দিনে বেশি করে চুলের যত্ন নেয়া দরকার। গরমে কিভাবে চুলের যত্ন নিবেন জেনে নিন-
আদর্শ জীবনসঙ্গী খুঁজতে
চুলের যত্ন নিতে নিয়মিত তেল দিন
বাংলায় একটা কথা আছে, ”জলে চুন তাজা আর তেলে চুল তাজা“ তেল হলো চুলের খাদ্য। তবে এ যুগের বেশির ভাগ মেয়ের চুলে তেল দেওয়াতে অনীহার শেষ নেই। চুলের যত্ন নিতে তেল না দিলে চুল পড়া, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়াসহ অনেক ধরনের সমস্যাই হয়। এজন্য সপ্তাহে অন্তত দুদিন মাথার তালুতে তেল ম্যাসাজ করতে হবে। সবচেয়ে ভালো হবে যদি তেল ফুটিয়ে নিয়ে হালকা গরম হলে গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ম্যাসাজ করেন।
গরমে চুলের যত্ন নিতে কোন তেল ব্যবহার করবেন? নারকেল, জলপাই, আমন্ড তেল চুলের জন্য অনেক ভালো। এর সাথে বাড়তি পুষ্টি ও সুরক্ষার জন্য মেশাতে পারেন লেবু, আমলকীর রস, পেঁয়াজের রস বা মধু। তেল দিয়ে ১০ মিনিট স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করতে হবে। আগের দিন রাতে তেল মেখে পরের দিন ভালো করে শ্যাম্পু করে নিলেই হয়ে গেল! ব্যস, এতে তেল অনেকটা সময় মাথার তালুতে থাকবে। মাথায় তেল দেওয়া চুল নিয়ে বাইরে বের না হওয়াই ভালো । কারণ এতে ধুলো-ময়লা মাথার তালুতে আরও বসে যেতে পারে। আর যদি আপনার মাথার তালু তৈলাক্ত হয় তাহলে সেক্ষেত্রে হালকা নন স্টিকি তেল ব্যবহার করতে হবে ভালো ফল পাবেন।
চুলের যত্ন নিতে শ্যাম্পু করা জরুরি
চুলের যত্ন নিতে সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন শ্যাম্পু করলে খুবই ভালো হয়। গরমের সময় মাথার তালু পরিষ্কার রাখাটা খুবই জরুরি। আর বাইরে গেলে অবশ্যই প্রতিদিন শ্যাম্পু দিতে হবে। শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। তা না হলে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। শ্যাম্পু ছাড়া চাইলে প্রাকৃতিক ক্লিনজিং উপাদান দিয়ে চুল পরিষ্কার করতে পারেন। চুলে নারিশিং শ্যাম্পু দেওয়ার চেষ্টা করবেন। নারিকেল, শিয়া বাটার, অর্গান অয়েল-বেসড শ্যাম্পু চুলের জন্য ভালো। চুলে সরাসরি শ্যাম্পু লাগাবেন না। স্ক্যাল্পে ঘষে প্রথমে ফেনা করুন, তারপর সেই ফেনা চুলে লাগিয়ে পরিস্কার করুন। এতে চুল রুক্ষ হবে না। শ্যাম্পু করার পর প্রতিবার কন্ডিশনার অবশ্যই লাগাবেন।
চুল ভালোভাবে শুকানো
চুলের যত্ন নিতে গোসল করার পর সঙ্গে সঙ্গে শুকিয়ে ফেলতে হবে। চুল ভালোভাবে মুছে শুকানোর জন্য ফ্যানের ঠান্ডা বাতাস সবচেয়ে বেশি ভালো। শুধু পানিতে ভেজা চুল নয়, ঘামে ভেজা চুলও যত দ্রুত সম্ভব শুকিয়ে ফেলতে হবে। কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই সময় নিয়ে চুল শুকানোকে ঝামেলা মনে করেন। তাই হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে কাজ চালিয়ে নিতে চান। মনে রাখবেন, হেয়ার ড্রায়ারের গরম বাতাস চুল অনেকাংশে ড্যামেজ করে।
চুল ভেজা থাকার কারণে অনেক সময় চুল পড়ে যায়। চুল ভেজা থাকা অবস্থায় আঁচড়ালে চুল খুব দ্রুত পড়ে যায়। প্রথমে আগে তোয়ালে দিয়ে ভালোভাবে চুলের পানি গুলো মুছে ফেলে চুলকে ভালোভাবে পেঁচিয়ে কিছুক্ষণ বেঁধে রাখতে হবে। চুলকে তোয়ালের ভিতরের উষ্ণতায় কিছুটা শুকিয়ে গেলে চুল বের করে এনে চুল শুকাতে হবে। চুলের যত্ন নিতে কখনোই ভেজা চুল ঝাপ্টে দিয়ে শুকাবেন না। এতে চুল ফেটে যায়।
চুলের যত্ন নিতে নিয়মিত চুল আঁচড়ান
বাসা বা অফিসের কাজের চাপে অনেকে ঠিকমত চুল আঁচড়াবার সময় পান না। কিন্তু মনে রাখবেন, চুলের যত্ন নেওয়ার ভালো একটা উপায় হলো নিয়মিত চুল আঁচড়ানো। এতে চুরে ম্যাসাজও হয়ে যায়। সারাদিন কাজ শেষে রাতে শোয়ার আগে অন্তত একবার ভালো করে সময় নিয়ে গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত চুল আঁচড়ান। চুল আঁচড়ালে ঘাম যেমন কম হবে তেমনি ময়লাও অনেকটা বেরিয়ে যাবে। মস্তিষ্কের নার্ভগুলিও ভালোভাবে কাজ করবে। চুল আঁচড়ানোর সময় চুল ভাগ করে নিয়ে হেয়ার স্প্রে নিয়ে চুলে লাগিয়ে বড় দাতের চিড়ুনি দিয়ে ভাগ করে করে আঁচড়াতে হবে। তারপর হেয়ার সিরাম দিয়ে চুল লাগিয়ে নিন। এরপরে দেখবেন চুলে ফিরে পাবে মসৃণতা।
চুল আঁচড়ানো জন্য যে চিরুনী ব্যবহার করছেন সেটার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। অনেকের চুল নষ্ট ও ছিঁড়ে যাওয়ার পিছনে শক্ত চিরুনী অনেকটা দায়ী। চুলের যত্ন নেয়ার সময় সবচেয়ে নরম চিরুনী ব্যবহার করবেন। শক্ত চিরুনী ব্যবহার করার কারনে চুল ভঙ্গুর হয়ে যায়। চুল পড়তে শুরু করে এবং এক সময়ে চুলের ঘনত্ব কমতে থাকে।
চুলের যত্ন নিতে হেয়ার মাস্ক বা প্যাক লাগান
গরমে মাথা ঠান্ডা রাখতে এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পেতে হেয়ার মাস্ক বা ঘরেই বিভিন্ন প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। চুলে মেহেদি লাগাতে চাইলে ঘরেই দুইভাবে মেহেদী প্যাক বানাতে পারেন। প্রথমত দুই কাপ বাটা মেহেদী পাতার সঙ্গে দুই টেবিল চামচ চায়ের লিকার যোগ করতে হবে। আর অন্য মাস্কে দেড় কাপ মেহেদিপাতার সঙ্গে মেশাতে হবে দুই চামচ টক দই, এক চামচ মেথির গুঁড়া এবং সামান্য লেবুর রস। চুলের যত্ন নিতে মেহেদী মাস্ক বিশেষভাবে উপকারী। কারও খুশকি বা চুল পড়া বা রুক্ষতার সমস্যা থাকলে সপ্তাহে একবার এই মেহেদী মাস্ক ব্যবহার করলেই চলবে।
চুলের যত্ন নিতে মেহেদীর পরিবর্তে অ্যালোভেরার মাস্কও ব্যবহার করতে পারেন। দুই চা চামচ ফ্রেশ অ্যালোভেরা জেল, এক চা চামচ মধু এবেং তিন চা চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করুন। আধ ঘণ্টা মতো রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। শুকনো চুলের জন্য এই মাস্ক ভাল কন্ডিশনারের কাজ করবে। অ্যালোভেরা সরাসরি ব্যবহার করতে পারবেন, তবে খুশকির সমস্যা থাকলে লেবুর রস মেশালে এর কার্যকারিতা অনেক বেড়ে যাবে। এছাড়া ডিম, দই আর মধু দিয়ে তৈরি হেয়ার প্যাক শুকনো বিবর্ণ চুলের জন্য খুব উপকারী।
শীতকালে চুলের যত্ন নেবেন কিভাবে?
গরমের তুলনায় শীতকালে চুলের আগা ফেটে যাওয়া, চুলের গোড়া নরম হওয়া, চুল ঝড়ে পড়া বা খুশকির সমস্যা বেড়ে যায়। তাই শীতকালে চুলের এক্সট্রা যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
চুলের যত্ন নিতে নিয়মিত চুল ছাটুন
শীতকালে চুলের যত্ন নিতে প্রতি চার থেকে আট সপ্তাহ পর পর আপনার চুল কাটতে হবে। চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য নিয়মিত চুল কাটা ভালো উপায়। চুল কাটানোর সময় কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি যেমন কীভাবে চুল কাটালে আপনাকে মানাবে, কোন হেয়ার স্টাইলটি আপনার চেহারার সাথে যায়, সোজা চুলের কাট কেমন হবে বা কোঁকড়ানো চুলে কেমন কাট হবে সব কিছু নিয়ে ভাবা উচিৎ। চুল কাটার আগে এই ধরণের বিষয়গুলো মাথায় রাখলে চুল কাটাতে যাওয়ার সময় আমাদের চিন্তায় পরতে হয় না।
চুলের যত্ন নিতে যাদের চুল বড় কিন্তু রুক্ষ, আগা ফাটা, এবং লাল তাদের চুল কেটে ফেলাই ভালো। মুখের গড়নের সাথে যেটি মানানসই, সেভাবেই চুল কাটা উচিৎ। যাদের চুল দুর্বল ও পাতলা তারা ব্লান্ট কাট দিতে পারেন। এতে তাদের চুল ঘন ও পরিপূর্ণ দেখাবে। যাদের মুখ ডিম্বাকার তারা চুলকে থুতনির নিচ পর্যন্ত লেয়ার করে কাটলে মুখ সরু এবং লম্বা দেখাবে না। খুব মিহি চুল অনেকগুলো লেয়ার করে কাটা উচিৎ নয়। এতে চুল দুর্বল ও দড়ির মতো বিশ্রী দেখায়।
যে কাঙ্ক্ষিত হেয়ার স্টাইলে চুল কাটাতে চান তার একটি ছবি পার্লারে নিয়ে গিয়ে হেয়ার স্টাইলিস্টকে দেখাতে পারেন। অথবা নির্দিষ্ট কাটটি আপনার চুলে মানানসই হবে কিনা এই ব্যপারে হেয়ার স্টাইলিস্টের পরামর্শও নিতে পারেন।
শীতে কোন চুলের জন্য কোন হেয়ার মাস্ক লাগাবেন?
হেয়ার মাস্ক বা প্যাক হিসেবে বাজারে এমন কিছু হেয়ার প্রোডাক্ট পাওয়া যাতে সালফেট থাকে। সালফেট স্কাল্প থেকে পানি শুষে নেয় এবং শেষ পর্যন্ত চুলও হয় শুষ্ক, নিষ্প্রাণ ও ভঙ্গুর। এজন্য চুলের যত্ন নিতে ঘরেই হেয়ার মাস্ক তৈরী করে নেয়াটা সুবিধাজনক। ঘরে তৈরী হেয়ার মাস্ক বা প্যাকের বিশেষ উপকারিতা হচ্ছে, মাত্র বিশ মিনিটে এই মিশ্রণ চুলে যে পুষ্টি জোগাবে, তাতে একাধারে কন্ডিশনিং হবে, ঔজ্জ্বল্য আসবে, চুল থাকবে হাইড্রেটেড এবং দৈর্ঘ্যও বাড়বে। আপনার চুলের ধরন ও প্রয়োজন বুঝে যে কোনো হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
১. খুশকির জন্য
শীতকালের সবচেয়ে কমন সমস্যা হলো চুলে খুশকী হওয়া। যারা খুশকীর সমস্যায় ভোগেন তারা চুলের যত্ন নিতে একটি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে দু’টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ভাল করে মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান। শুকিয়ে গেলে ভাল করে ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিন। অথবা হাফ কাপ দইয়ের সঙ্গে দু’টেবিল চামচ লেবুর রস ও এক টেবিল চামচ মধু ব্লেন্ডারে ভাল করে মিশিয়ে নিন। একঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। লেবু এবং দই চুল খুসকিমুক্ত রাখে, অন্য দিকে মধু ময়শ্চারাইজ় করে। ফলে চুল হয় ফুরফুরে।
এছাড়া চুলের যত্ন নিতে মেথি ও লেবুর রসের তৈরী হেয়ার মাস্কও অত্যন্ত কার্যকরী। এজন্য ৬ টেবিল চামচ মেথি সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে সেই মেথি পেস্ট করে সাথে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে সারা চুলে এবং তালুতে লাগাতে হবে। আধাঘণ্টা রেখে ঠাণ্ডা পানি ও মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
২. চুল পড়ার সমস্যায়
শীতকালে যাদের চুল বেশি পড়ে তারা চুলের যত্ন নিতে বাড়িতেই কয়েকটি হেয়ার মাস্ক বানিয়ে লাগাতে পারেন। প্রথমত এক টেবিল চামচ নারকেল তেল ও এক টেবিল চামচ মধু একটি পাত্রে নিয়ে ভাল করে মেশান। তার পরে তা গরম করে চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভাল করে মাখিয়ে পুরো চুল ঢেকে রাখুন শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে। পরে ভাল করে ধুয়ে নিন।
নারকেল তেল ও দারচিনি গুঁড়ো দিয়ে আরেকটি প্যাক বানিয়ে নিতে পারেন। এজন্য দু’টি উপাদানই এক টেবিল চামচ করে মিশিয়ে নিন। এরপর মাঝখান দিয়ে সিঁথি করে চুল দু’ভাগ করে নিন। তারপর চুলের মাঝখান থেকে নীচ অবধি প্যাক লাগান। আঙুলের ডগা দিয়ে স্ক্যাল্পে ভাল করে মাসাজ করুন। তার পরে পুরো চুল তুলে মাথায় শাওয়ার ক্যাপ বা তোয়ালে জড়িয়ে রাখুন। ৩০-৪৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন।
এছাড়া চুলের যত্ন নিতে পেঁয়াজের তৈরী হেয়ার প্যাক বা মাস্ক চুল পড়া রোধ করতে অত্যন্ত কার্যকরী এবং নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। প্যাকটি বানাতে ৫-৬ টি পেঁয়াজ ব্লেন্ড করে মিহি পেস্ট করে নিন। একটি ছাঁকনি দিয়ে পেস্টটুকু ছেঁকে রস বের করে নিন। এবার রসটুকু চুলের গোড়ায় লাগান। ইচ্ছে হলে রস না লাগিয়ে পেঁয়াজের পেস্ট সরাসরি মাথার তালুতে লাগাতে পারেন। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩. তৈলাক্ত চুলের জন্য
তৈলাক্ত চুলের যত্ন নিতে সবচেয়ে কার্যকরী হলো একটি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে হাফ পাতিলেবুর রস মেশানো হেয়ার মাস্ক। এই মিশ্রণটি এমনভাবে মেশাবেন যাতে তা খুব স্মুদ হয়ে যায়। সম্ভব হলে এর সঙ্গে চাইলে এক কাপ নারকেলের দুধ এবং দু’টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মেশাতে পারেন। এতে আরও ভাল ফল পাবেন। এ বার মিশ্রণটি চুলের গোড়া থেকে ডগা অবধি আঙুল দিয়ে লাগিয়ে নিন। আধঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।
৪. শুষ্ক চুলের জন্য
শুষ্ক চুলের যত্ন নিতে অলিভ ওয়েল খুব উপকারী। অলিভ ওয়েল ব্যবহার করলে ফলে স্ক্যাল্পের ড্রাইনেসও কমে। একটি পাত্রে দু’টেবিল চামচ ব্রাউন সুগার ও এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে ভাল করে মেশান। তার পরে চুলের গোড়া থেকে ডগা অবধি ভাল করে মেখে মিনিট কুড়ি রেখে দিন। পরে শ্যাম্পু করে নিন। হেয়ার মাস্ক ব্যভহার করলে চুলের সব সমস্যা তো মিটবেই, চুলও থাকবে উজ্জ্বল।
শীতে চুলের যত্ন নেওয়া জন্য নিয়মিত রুটিন থাকলে সেটি চুলের জন্য অনেক কাজে দেয়। ভালো খাদ্যাভ্যাস, প্রচুর পানি পান করা, পর্যাপ্ত ঘুম ও নিয়মিত চুল ছাঁটা শুষ্ক চুলের সমস্যা অনেক কমিয়ে দিতে পারে। চুলের যত্ন নিতে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় নারিকেল তেল। এটা সবখানেই পাওয়া যায় আবার নাগালেরও মধ্যে। হেয়ার ড্রায়ার, হেয়ার স্ট্রেইটেনার, হেয়ার কালার থেকে দূরে থাকলে চুল একটু ভালো থাকবে।
চুলের যত্ন নিতে গিয়ে যে ভুলগুলো করবেন না
চুলের যত্ন নিতে যেমন কিছু করণীয় আছে, তেমনি রয়েছে কিছু বর্জনীয় কাজ। যেমন-
১. অনেকে চুলে নানা স্টাইল করতে ভালোবাসেন, চুলে স্টাইল করতে গিয়ে ব্লো ড্রাই করেন। ব্লো ড্রাই করলে চুল তাড়াতাড়ি শুকানো যায় ঠিকই কিন্তু চুল তাতে নষ্টও হয়। তাই চুলের যত্ন নিতে গিয়ে ব্লো ড্রাই করা যাবে না। ফ্যানের বাতাসে চুল শুকাতে না চাইলে চুল বরং খুলে রেখে স্বাভাবিক বাতাসে শুকিয়ে নেবেন। হেয়ার বা ব্লো ড্রায়ারের তাপের কারণে চুলের ক্ষতি হতে পারে।
২. শীতকালে গোসলের পর মাথায় পানি বসে গিয়ে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয় থাকে। সেজন্য অনেকে তোয়ালে দিয়ে জোরে চুল ঘষেন। এতে চুল শুকানোর বদলে ক্ষতি হয় বেশি। এটা না করে বরং তোয়ালে দিয়ে প্রথমে আলতো হাতে যত্ন করে চুল মুছে নেবেন। এরপর বাতাসে চুল খোলা রেখে শুকিয়ে নেবেন।
৩. শীত এলে অনেকেই গরম পানি ছাড়া গোসল করেন না। ত্বকের জন্য হালকা গরম পানি ক্ষতিকর না হলেও চুলে কখনোই গরম পানি দেবেন না। গরম পানির কারণে চুলের কিউটিকল ফুলে ওঠে। তারপর আর্দ্রতার সংস্পর্শে এলে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। তাই চুলের যত্ন নিতে সব সময় স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে চুল পরিস্কার করবেন।
৪. চুলের যত্ন নিতে নিয়মিত শ্যাম্পু করা ভালো। তবে যারা মাত্রাতিরিক্ত শ্যাম্পু করেন তাদের জন্য রয়েছে সতর্কতা। চুলের যত্ন নিতে হলে শ্যাম্পু অতিরিক্ত ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করার ফলে চুল নিষ্প্রাণ হয়ে যায়।
৫. মেয়েদের চুল নিয়ে আরেকটি সমস্যা হলো চুলের আসল রং টা ম্লান হয়ে যাওয়া। চুল অনেক সময় সাদা হয়ে যায়। চুলের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেক চুলের রং করে থাকেন। মনে রাখবেন, চুলের রং কোনো স্থায়িত্ব দেয় না। স্বাভাবিকভাবে কয়েকদিনের সৌন্দর্য রক্ষার জন্যে চুলের কালার করলে নিয়মিত চুলের যত্ন নিতে হবে।
৬. অনেকে ত্বক মুছতে একটু মোটা কাপড় ব্যবহার করেন যা দিয়ে চুলও মুছে থাকেন। এই ভুলের কারনে চুলের ক্ষতি হতে পারে। চুল মোছার ক্ষেত্রে সব সময় সুতি গামছা ব্যবহার করবেন।
সবশেষে চুলের যত্ন
আমাদের যে আবহাওয়া তাতে মেয়েদের চুলের সমস্যা অনেক বেশি হয়। তাই চুলের যত্ন নিতে হলে আরো বেশি কেয়ারফুল হতে হবে। চুলের যত্ন নিলেই তবে চুল হবে সুন্দর। চুলে থাকবে মসৃণতা। রাতে চুল বেঁধে শোবেন, রাস্তায় বেরোলেও চুল বেঁধে রাখুন। পার্টি বা বিয়েতে চুল খোলা রাখতে পারেন কিন্তু সারা দিনের জন্য পিকনিকে গেলে চুল অবশ্যই বেঁধে রাখুন। চুলের সমস্যায় প্রয়োজন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।
কল করুনঃ+880-1407-004393 অথবা +88-01782-006615 এ।
আমাদের মেইল করুন taslima55bd@gmail.com
[…] বিভিন্ন হেয়ার মাস্ক দরকার হয়। আমাদের আগের আর্টিকেলে চুলের যত্নে বাড়িতে বসেই বিভিন্ন রকম […]
[…] এবং প্রাণহীন। গত পর্বে মেয়েরা কিভাবে চুলের যত্ন নিতে পারে সে সম্পর্কে আলোচনা করেছি। […]
[…] আশা করি, এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। এই বিষয় আরো জানতে সাইটটি ভিজিট করুন.. Visit Now […]
Can you be more specific about the content of your article? After reading it, I still have some doubts. Hope you can help me. https://www.binance.info/pt-PT/join?ref=DB40ITMB
Wow, fantastic blog structure! How lengthy have you ever been blogging for?
you make blogging look easy. The whole glance of your web site is fantastic, let alone the content!
You can see similar here sklep internetowy
reputable indian pharmacies https://indiaph24.store/# india online pharmacy
india online pharmacy
mexico pharmacies prescription drugs: mexican pharmacy – mexico drug stores pharmacies
medication from mexico pharmacy: Online Pharmacies in Mexico – buying from online mexican pharmacy
buy prescription drugs from india http://indiaph24.store/# indian pharmacy
best online pharmacy india