স্বাভাবিক ভাবেই বিয়েতে কনের সাজ পোশাকের প্রতি একটু বেশীই লক্ষ্য রাখা হয়। তবে বিয়েতে কনের সাজ পোশাকের পাশাপাশি বরের পোশাক সমান গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিয়েতে দেখার সৌন্দর্য বলে একটা বিষয় সবসময়ই থাকে। বর্তমানে ছেলেরাও ট্রেন্ডের সাথে তাল মিলিয়ে বিয়ের পোশাক এবং সাজসজ্জার দিকে বেশ নজর দিচ্ছে। ছেলেরা তাদের বিয়েতে বরের পোশাক হিসেবে স্বাভাবিকভাবে যেগুলো প্রেফার করে থাকে তার মধ্যে রয়েছে শেরওয়ানি, পাঞ্জাবি, পাজামা, ওড়না, পাগড়ি, নাগরা, স্যুট ইত্যাদি।
তবে বিয়ের দিন নিজেকে ব্যক্তিত্বের সাথে উপস্থাপন করতে চাইলে কোন পোশাকে আপনাকে সবচেয়ে ভালো মানাবে তা জেনে নিন এখানে।
বরের পোশাক এ শেরওয়ানি
অপরূপা কনের সাথে বর হিসেবে আপনাকেও হতে হবে ফিটফাট এবং আকর্ষণীয়। এজন্য বিয়েতে বরের পোশাক হিসেবে শেরওয়ানির জুড়ি নেই। নবাবি নাগরা, বাহারি পাগড়ি মাথায় দিয়ে রাজকীয় শেরওয়ানি গায়ে বর সাজবে রাজাপুত্রের বেশে। এটাই আমাদের দেশের ট্র্যাডিশন। সাধারণত অফ হোয়াইট, মেরুন, সোনালি—এই তিন রঙের শেরওয়ানি বেশি জনপ্রিয়। তবে শেরওয়ানি কনের পোশাকের রঙের সাথে মিলিয়ে তা নির্ধারন করা উচিত। যেমন, কনের পোশাকের রঙ লাল বা মেজেন্টা হলে বরকে অফহোয়াইট কিংবা হালকা গোল্ডেন শেরোয়ানিতে ভালো লাগবে। পোশাকে কম্বিনেশন বেশি আকর্ষণীয় লাগে দেখতে। তাই কনের পোশাক থেকে যে কোনো রঙ বেছে নিয়ে শেরোয়ানি ও এর বিপরীত রঙের পাগড়ি পরলে দেখতে বেশি ভালো লাগে।
শেরওয়ানিতে অনেক ধরনের প্যাটার্ন বা কাট চলে এলেও বর্তমানে স্লিম কাট এবং সেমি লম্বার চলটাই বেশি। ফ্লোরাল প্রিন্টের কাতান বা সিল্ক কাপড়ের শেরওয়ানির সঙ্গে ভালো লাগবে আলিগড় পায়জামা। জ্যাকার্ড তাঁতে বোনা শেরওয়ানির সঙ্গে পরতে পারেন চুড়িদার। রাজকীয় বর সাজার ইচ্ছা থাকলে শেরওয়ানির সঙ্গে মিলিয়ে দোপাট্টা নিন। জর্জেট কাপড়ের দোপাট্টায় রেশমি সুতার কাজ আর নিচে ছোট ছোট পাথর বসানো ঝালর দেওয়া দোপাট্টা, মুক্তার মালা শেরওয়ানি রাজকীয় লুক আনবে।
শেরওয়ানি কেনার সময় অবশ্যই ফেব্রিকের মান দেখে কিনবেন। নিম্নমানের ফেব্রিকের শেরোয়ানী একদমই আরামদায়ক হবে না আর দেখতেও বেশ খারাপ লাগবে। দরকার হলে ভালো কাপড় কিনে টেইলার্স থেকে বানিয়ে নিন।
আদর্শ জীবনসঙ্গী খুঁজতে
পাগড়ি
বাংলাদেশী বিয়েতে বরের পোশাক এ আনুষঙ্গিক হিসেবে পাগড়ি মাস্ট। বিয়ের পাগড়ি বরকে রীতিমত রাজকীয় লুকে উপস্থাপন করে। যদিও পাগড়ি পরার ঐতিহ্য প্রাচীন তবে পাগড়ি পরার নকশা এবং রঙে এখন ব্যাপক বৈচিত্র্য এসেছে। বাজারে দুই ধরনের বিয়ের পাগড়ি পাবেন। এক ধরনের পাগড়িতে শুধু কাপড় দেয়া হয়, বরকে পাগড়ি নিজে থেকে মাথায় বেঁধে নিতে হয়। এ ধরনের পাগড়িতে কাপড়ের মান আর রঙই বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কেননা খুব বেশি কারুকাজ করা সম্ভব হয় না। আরেক ধরনের পাগড়ি বাঁধাই থাকে, বর শুধু মাথায় পড়ে নিলেই হলো। এই ধরনের পাগড়িতে অনেক কারুকাজ করা যায়; পুতির মালা, পাথর ইত্যাদি দিয়ে পাগড়ি সাজানো হয়।
শেরওয়ানির রং না নিয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিপরীত রঙের পাগড়ি বেছে নিন। সোনালি, তামাটে, লালের মতো উজ্জ্বল রঙ কিংবা ঘিয়ে রঙের পাগড়িতে বর বেশি জমকালো হয়ে ওঠে। আর তা যদি হয় জামদানি, কাতান, মসলিন, হাফসিল্ক কাপড়ের তবে তা আরও চমৎকারভাবে ফুটে ওঠে। বরের সাজে নতুনত্ব আনতে ভারতের রাজস্থান, বেলুচ, হায়দরাবাদ কিংবা মোগল পাগড়ি এখন বেশি জনপ্রিয়।
বরের পোশাক এ পাঞ্জাবি
অনেকেই শেরোয়ানি না পরে বিয়েতে পাঞ্জাবি পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বিয়েতে যদি পাঞ্জাবি প্রেফার করে থাকেন তা অবশ্যই আট-দশটা সাধারণ পাঞ্জাবির মত হলে চলবে না। বিয়ের পাঞ্জাবি হবে বেশ গর্জিয়াস, আর ভারি ফেব্রিকের। এছাড়া পাঞ্জাবির ওপর সুন্দর কারুকাজও দেখে কিনবেন। রঙের ক্ষেত্রে পাঞ্জাবির অপশন অনেক বেশি। বিয়েতে কিন্তু শর্ট পাঞ্জাবি ভালো দেখায় না। বরের পাঞ্জাবি লম্বাই হতে হবে।
অ্যাসিমেট্রিক, ম্যান্ডারিন, সাইড স্লিট ইত্যাদি কাটের পাঞ্জাবি পরতে পারেন। সিল্ক, ভেলভেট অথবা সাটিন জাতীয় ফেব্রিকের পাঞ্জাবি বেছে নিন। কটনের ক্ষেত্রে খুব বেশি গর্জিয়াস পাঞ্জাবি বেছে নেওয়াটা একটু কঠিনই হয়। খুব অসাধারণ ডিজাইন আর কারুকাজ না থাকলে কটনের পাঞ্জাবি বেছে নেয়ার প্রয়োজন নেই। সুতির কালারফুল পাঞ্জাবির সঙ্গে চুড়িদার পাজামা গলায় একটা ছোট্ট দোপাট্টাও থাকতে পারে। চাইলে পাঞ্জাবির সঙ্গে কোটিও পরতে পারেন।
পাজামা
পাঞ্জাবি অথবা শেরোয়ানী যাই হোক না কেন, এর সাথে পাজামাই বিয়ের সবথেকে আদর্শ বরের পোশাক। সবথেকে ভালো হয় যদি পাঞ্জাবি অথবা শেরোয়ানীর সাথেই পাজামা একসাথে পাওয়া যায়। এভাবে সেটের সাথে কেনা পাজামাগুলো ম্যাচও করে যায় বেশ সুন্দর ভাবে। আলাদা পাজামা কিনতে গেলেও ম্যাচিং-এর দিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিন। স্বাচ্ছন্দ্য অনুযায়ী চুড়িদার, সালোয়ার, রেগুলার ফিট- যেকোনোটিই বেছে নিতে পারেন। কেউ চাইলে প্যান্টও পরতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সাদা চিনোস অথবা রেগুলার ফিট জিন্সই উপযুক্ত।
নাগরা জুতা
বিয়ের সাথে বরের নাগরা জুতা রীতিমত ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এখনও কনে পক্ষ থেকে দুষ্টুমি করে বরের নাগরা চুরি করে টাকা আদায়ের রীতি অনেক বিয়েতেই দেখা যায়। যাই হোক, অনেকেই মনে করেন জুতার দিকে খুব একটা গুরুত্ব দেয়ার দরকার নেই, কারণ পায়ের দিকে কেউ খুব একটা তাকায় না। আদতে এটা একদমই ঠিক নয়। বরের আপাদমস্তক সাজসজ্জার দিকেই সবার মনোযোগ থাকে। তাই নাগরাটাও সেরা মানের হওয়া উচিত। খুব ভারি কাজের নাগরা না পড়াই ভালো, নইলে পায়ে ফোস্কা পড়ে যেতে পারে। ভালো হয় ভেলভেটের তৈরি নাগরা পড়তে পারলে। দেখতে দারুণ, পড়তেও বেশ আরাম।
বরের পোশাক হিসেবে স্যুট
বর সাজতে হলে ভারী শেরওয়ানিই পরতে হবে এমন কোন কথা নেই। বরের পোশাক হিসেবে ফুল আর পাখির নকশা করা প্রিন্স কোট পরেও ভিন্ন বেশে বর সাজতে পারেন। স্যুটের বিভিন্ন অপশন রয়েছে। যেমন সিঙ্গেল ব্রেস্টেড, ডাবল ব্রেস্টেড, ওয়েডিং স্যুট, টাক্সেডো ইত্যাদি। অভিনবত্ব চাইলে যোধপুরি প্যান্টের সঙ্গে প্রিন্স কোট পরুন। ব্লেজারের রং না মিলিয়ে মানানসই বিপরীত রঙের বাটন নিতে পারেন। এবং প্যান্ট চাপা সোজা কাটের বানাতে পারেন। স্বাচ্ছন্দ্য অনুযায়ী সঙ্গে থাকতে পারে ওয়েস্টকোট।
শার্ট নির্বাচন করুন স্যুট বা ব্লেজারের সঙ্গে কনট্রাস্ট করে। স্যুট, ব্লেজার বা প্রিন্স কোট যা-ই পরুন, সেলাই চাই মনমতো। চেক বা এক রঙের টাই নির্বাচন করুন স্যুট ও শার্টের রঙের সঙ্গে মিল রেখে। শার্ট-স্যুট-টাইয়ের ধরন এবং রঙ পছন্দমতো নির্বাচন করলেও মিলিয়ে খেয়াল রাখবেন সব যেন মানানসই এবং ওয়েল ফিটেড হয়। অতিরিক্ত ঢিলা বা টাইট ফিট একটি সুন্দর পোশাককেও বেখাপ্পা করে তুলতে পারে।
বরের পোশাক এর অনুষঙ্গ হিসেবে কোটপিন, টাই, বো, পকেট স্কয়ার জুতার প্রতি বিশেষ নজর দিন। সঙ্গে এক জোড়া কাফলিংস পরে নিন। এতে আপনি হয়ে উঠবেন বেশ আকর্ষণীয়। প্রিন্স কোট বা স্যুট যেটাই পরুন না কেন, জুতা অবশ্যই সুন্দর ও চকচকে হতে হবে।
অন্যান্য অনুষঙ্গ
বিয়েতে বরের পোশাক এর আরেকটি অবিচ্ছেদ্য অংশ একটি মনকাড়া সুগন্ধি, কোলন বা পারফিউম। এজন্য বেছে নিন ভালো ব্র্যান্ডের সুগন্ধি। ছোট্ট এক টুকরো হীরে বা সোনা বসানো ডিজাইনার ঘড়ি কিনতে পারেন জীবনের এই স্পেশাল দিনটার জন্য৷ খেয়াল রাখবেন যাতে আপনার পোশাকের সঙ্গে জুতা, বেল্ট ও ঘড়ির (যদি তা বেল্টের হয়) ধরন নিজের পছন্দমতো হলেও এই তিনটি জিনিসের রঙ যাতে একই থাকে। হাতে অনেকেই ব্রেসলেট পরতে ভালোবাসেন৷ তবে সেটা খুব বেশি ঝলমলে না হওয়াই ভালো৷
বিয়ের অনুষ্ঠান ইনডোর না আউটডোরে হবে তার উপর নির্ভর করে বিয়েতে বরের পোশাক এর রং। তাছাড়া সবাই এক রকম নয়। কেউ লম্বা, কেউ শর্ট, কেউ ফর্সা কেউ বা শ্যামলা। তাই শরীরের গড়ন ও স্কিন টোনের উপর বেস করে পোশাক নির্বাচন করা উচিত। আপনার যদি পছন্দের কোনো ডিজাইনার থেকে থাকে তাহলে আপনি আপনার ডিজাইনারকে দিয়ে আপনার পছন্দের বিয়ের পোশাকটি তৈরি করে নিতে পারেন।
বিয়েতে বরের পোশাক নির্বাচন যেমনই হোক না কেন, সব সময় মাথায় রাখতে হবে, আপনি যা পরছেন তাতে যেন পরিপূর্ণ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন এবং তা যেন আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে পুরোপুরি মানানসই হয়। এতেই উৎসবে আপনি আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবেন। থাকবেন অন্যের প্রশংসিত দৃষ্টিতে।
কল করুনঃ+880-1407-004393 অথবা +88-01782-006615 এ।
আমাদের মেইল করুন taslima55bd@gmail.com
Wow, amazing blog format! How lengthy have you been running a blog
for? you made running a blog look easy. The total glance of
your website is excellent, as smartly as the content material!
You can see similar here najlepszy sklep
online shopping pharmacy india https://indiaph24.store/# indianpharmacy com
world pharmacy india
buying prescription drugs in mexico online: mexican pharmacy – buying from online mexican pharmacy
buying prescription drugs in mexico online: Mexican Pharmacy Online – mexican online pharmacies prescription drugs
pharmacy website india https://indiaph24.store/# buy medicines online in india
pharmacy website india