3.5/5 - (8 votes)

দেনমোহর কি?

দেনমোহর বা মোহরানা হলো কিছু অর্থ বা অন্য সম্পত্তি যা বিবাহের প্রতিদান স্বরুপ স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে পাবার অধিকারী। স্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন স্বরুপ স্বামীর উপর যে দায় আরোপিত হয়েছে সেটাই মোহর। মোহর স্ত্রীর একচ্ছত্র অধিকার এবং এটা স্বামীর কাছে স্ত্রীর প্রাপ্য। বিয়েতে যদি মোহর নির্ধারণ করা না হয়, তবে স্ত্রী তার মর্যাদা ও যোগ্যতার বিচারে মোহর পাওয়ার অধিকারী।

মুসলিম বিয়ের রীতি অনুযায়ী বিয়ের জন্য দেনমোহর অত্যাবশ্যক। যত কমই হোক, মোহর নির্ধারণ ছাড়া কোন বিয়ে পরিপূর্ণ হবে না। বিয়েতে ধার্যকৃত মোহর স্বামীকে অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। আল্লাহ তাআলা পুরুষদের জন্য স্ত্রীকে দেনমোহর দেয়া আবশ্যক করেছেন। মোহর অনাদায়ে স্ত্রীর সঙ্গে মেলামেশা করা মারাত্মক অপরাধ।

বর্তমান সময়ে দেনমোহর বিষয়ে পরিস্কার ধারণা না থাকায় অনেকে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি প্রতারিতও হচ্ছেন। আজকে জেনে নিন দেনমোহর সম্পর্কিত যাবতীয় সকল জিজ্ঞাসা ও তার উত্তর-

দেনমোহর আদায়ে আল্লাহ্‌র আদেশ

ইসলামী শরিয়ত স্ত্রীর মোহর পরিশোধ করা স্বামীর ওপর ফরজ করে দিয়েছে। আল্লাহ্‌ পাক ইরশাদ করেছেন,

‘তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের থেকে যে স্বাদ গ্রহণ করো তার বিনিময়ে অপরিহার্য ফরজ হিসেবে তাদের দেনমোহর পরিশোধ করো।’(সূরা নিসা)

হযরত আয়েশা (রা) বলেন, রাসূল (সা) বলেছেন,

আদর্শ জীবনসঙ্গী খুঁজতে

‘নিশ্চয় বরকতের দিক দিয়ে সর্বোত্তম ও গ্রহণযোগ্য বিয়ে হলো, যে বিয়ে সবচেয়ে স্বল্প খরচে সম্পাদিত হয়’। (বায়হাকি শোয়াবুল ঈমান)

আমাদের সমাজে দেখা যায়, অনেকের মোহর পরিশোধের নিয়তই থাকে না। প্রচারের উদ্দেশ্যে এটাকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা মনে করা হয়। এ সম্পর্কে রাসূল সা: বলেছেন,

‘যে ব্যক্তি কোনো একটা পরিমাণ মোহরানা ধার্য করে কোনো নারীকে বিয়ে করল, অথচ আল্লাহ্ জানেন তা পরিশোধ করার ইচ্ছে তার নেই, এ ব্যক্তি আল্লাহর নামে তার স্ত্রীকে প্রতারিত করল এবং নাহকভাবে তার সতীত্ব নিজের জন্য হালাল মনে করে ভোগ করল এমন ব্যক্তি কিয়ামতে ‘জিনাকারী ব্যভিচারী হিসেবে আল্লাহর কাছে উপস্থিত হবে।’ (মুসনাদে আহমদ)

স্বামী যদি চাপ দিয়ে বা কৌশলে পূর্ণ দেনমোহর বা কিছু অংশ মাফ করিয়ে নেয়, তাহলে আল্লাহর বিচারে তা মাফ হবে না।

এ আয়াতগুলো থেকে বোঝা যায় দেনমোহর আদায় করা ফরয। যদি স্ত্রী সন্তুষ্ট চিত্তে স্বামী মহর থেকে কিছু পরিমাণ দেয় তা স্বামী গ্রহণ করতে পারে। এটা হলো কুরআনের নির্দেশ।

‘এবং তোমরা নারীদেরকে দাও তাদের দেনমোহর খুশিমনে। এরপর তারা যদি স্বেচ্ছায় স্বাগ্রহে ছেড়ে দেয় কিছু অংশ তোমাদের জন্য তাহলে তা স্বচ্ছন্দে ভোগ কর।’ (সুরা নিসা)

দেনমোহর কয় ধরনের?

সাধারণত মোহর দুই ধরনের হয়ে থাকে। তাৎক্ষণিক মোহর এবং বিলম্বিত মোহর।

তাৎক্ষণিক দেনমোহর

তাৎক্ষণিক মোহর স্ত্রীর চাওয়ামাত্র পরিশোধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্ত্রী তাৎক্ষণিক মোহর না পাওয়া পর্যন্ত স্বামীর সঙ্গে বসবাস ও শারীরিক মিলনে অস্বীকার করতে পারেন।

দেনমোহরের একটা নির্দিষ্ট অংশ থাকে যা তাৎক্ষনিক, অর্থাৎ স্ত্রী দাবী করা মাত্র দিয়ে দিতে হয় ।
সাধারণত কাবিননামার নির্দিষ্ট কলামে তাৎক্ষনিক দেনমোহরের অংশ উল্লেখ থাকে । অংশ দেওয়া হয়ে গেলে তাকে উসুল বলা হয়।

বিলম্বিত দেনমোহর

যে মোহর বিবাহবিচ্ছেদ (তালাক) অথবা স্বামীর মৃত্যুর পর পরিশোধ করতে হয়, তাকেই বিলম্বিত মোহর বলে। এ ছাড়া স্বামী সালিসি পরিষদের অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করলে স্ত্রী বা স্ত্রীদের দাবিক্রমে বিলম্বিত দেনমোহর পরিশোধ করতে হবে।

বিলম্বিত মোহর আদায়যোগ্য হয় ৩ টি ঘটনার সাপেক্ষে –

  • স্বামী মৃত্যুবরণ করলে
  • ডিভোর্স হলে
  • অনুমতি ছাড়া একাধিক বিয়ে করলে

দেনমোহর কেন আদায় করতে হবে?

মুসলিম বিয়ে অনুযায়ী একটি শুদ্ধ বিয়ের জন্য মোহর অত্যাবশ্যকীয়। দেনমোহর নির্ধারণ ছাড়া কোনোভাবেই বিয়ে শুদ্ধ হবে না। বিয়ের সময় যদি মোহর নির্ধারিত না হয়ে থাকে, অথবা স্ত্রী কোনো মোহর দাবি করবে না শর্তে বিয়েটি যদি সম্পাদিতও হয়, তবুও স্বামীকে মোহর দিতে হবে স্ত্রীকে। এ ক্ষেত্রে স্বামীর কোনো ধরনের অজুহাত দেখিয়ে স্ত্রীকে মোহর দেওয়া থেকে বিরত থাকার আইনগত সুযোগ নেই।

তালাক হলে স্বামীর মৃত্যু হলে দেনমোহর দিতে হবে কিনা?

স্ত্রী যেকোনো সময় স্বামীর কাছে দেনমোহর দাবি করতে পারেন। ডিভোর্স বা স্বামীর মৃত্যুর সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। এমনকি স্ত্রী নিজে যদি স্বামীকে তালাক দেয় তাহলেও মোহর আদায় করতে হবে। আর স্বামীর মৃত্যু হলে স্বামীর সম্পত্তি থেকে স্ত্রী প্রাপ্য মোহর আদায় করে নিতে পারবেন।

বিয়ের ‍উপহারকে কি দেনমোহর বলা যায়?

সাধারণত দেখা যায়, বরপক্ষ বিয়েতে কনেকে উপহার সামগ্রী দিয়ে বিভিন্ন জনের কাছে বলে বেড়ায় মেয়েকে আমরা এতো ভরি স্বর্ণ দিয়েছি কিংবা ফ্ল্যাটবাড়ি বা জমি দিয়েছি। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে বিয়ের সময় দেওয়া শাড়ি, গহনা, কসমেটিকস বা অন্যান্য জিনিষপত্র দেনমোহরের অংশ নয়।  এগুলো স্বামী বা তার পরিবার কর্তৃক স্ত্রীকে দেওয়া উপহার হিসেবে বিবেচিত হবে না। অনেক সময় বিয়ের কাবিননামায় শাড়ি, গহনার মূল্য ধরে দেনমোহরের একটি অংশকে উসুল ধরা হয়। এটা ঠিক নয়। মোহর স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে দেওয়া কিছু অর্থ বা মূল্যবান সম্পদকে বোঝাবে, অন্য কিছু নয়।

জমি হস্তান্তরের দলিলে ‘দেনমোহর বাবদ’ কথাটি লেখা না থাকলে এরূপ জমি উপহার দেয়া মোহর পরিশোধ হিসেবে গণ্য হবে না; উপহার হিসেবে বিবেচিত হবে। এছাড়া মুসলিম আইনের ভাষ্য হচ্ছে- মোহর এমনভাবে প্রদান করতে হবে যাতে সেটির উপর স্ত্রীর নিঃশর্ত মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং স্ত্রী নিজ ইচ্ছামতো বিনা বাধায় তা ব্যবহার, খরচ, দান, ভোগ বা ঋণ দিতে পারে।

যদি স্বর্ণালংকার দিয়ে মহর আদায় করতে হয় তবে তা আগে থেকে ফয়সালা করে নিতে হবে। আর তাতে কনের সম্মতি থাকতে হবে। বিনা ফয়সালায় বিয়ের উপঢৌকনকে মহর হিসেবে প্রদান করলে তাতে মেয়ে যদি সম্মতি না হয় তবে অবশ্যই স্বামীকে মহর পরিশোধ করতে হবে।

মোহর নির্ধারণ করবেন কিভাবে?

দেনমোহর নির্ধারণে কয়েকটি বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। যেমন- পাত্রীর সামাজিক অবস্থা, বংশমর্যাদা, আর্থিক অবস্থান, ব্যক্তিগত যোগ্যতা ইত্যাদি। পাত্রীর পরিবারের অন্য মহিলাদের (যেমন: ফুফু, বোন) দেনমোহরের পরিমাণের ভিত্তিতেও মোহর নির্ধারিত হয়। এছাড়া পাত্রের আর্থিক সঙ্গতি, সামাজিক এবং পারিবারিক অবস্থানও মোহর নির্ধারণে বিশেষ বিবেচনায় নিতে হবে।

দেনমোহর স্বামীর আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ রেখে নির্ধারণ করতে হয়। সর্বোচ্চ দেনমোহরের কোন নির্দিষ্ট পরিমাণ নেই। দেনমোহরের পরিমাণ নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে স্ত্রীর পারিবারিক অবস্থান ও স্বামীর আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনা করা প্রয়োজন। মোহর এত অধিক হওয়া উচিত নয় যা স্বামীর পক্ষে পরিশোধ করা সম্ভব নয়; কারো বাড়াবাড়িতে মহর বেশি দিয়ে তা আদায় করতে না পারলে স্বামীকে গোনাহগার হতে হয়।

আবার দেনমোহর এত কম হওয়া উচিত নয় যা স্ত্রীর আর্থিক নিরাপত্তা দিতে পারে না। আর্থিক সক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনা করে মোহর ধার্য করলে স্বামী সহজেই পরিশোধ করতে পারবেন এবং প্রাপ্য দেনমোহরের অধিকার থেকে নারীরা বঞ্চিত হবে না।

মোহর একবার নির্ধারণ করার পর এর পরিমাণ কমানো যায় না। তবে স্বামী নিজ উদ্যোগে তা বাড়াতে পারে। স্বেচ্ছায় যদি কেউ স্ত্রীকে বেশি মহর দিতে চায় তা নিন্দনীয় নয়। কারণ যার সামর্থ আছে সে স্ত্রীকে বেশি মহর আদায় করবে তাতে অন্যায়ের কিছু নেই।

যদি কেউ আদালতে দেনমোহর দাবি করেন (বিয়ের সময় মোহর নির্ধারিত না থাকলে) তবে আদালত স্ত্রীর মর্যাদা এবং স্ত্রীর পিতৃকুলের অন্যান্য মহিলার দেনমোহরের পরিপ্রেক্ষিতে মোহর নির্ধারণ করতে পারেন।

স্ত্রী কিভাবে দেনমোহর আদায় করবেন?

মোহর স্ত্রীর আইনগত, একচ্ছত্র অধিকার এবং সব সময়ই স্বামীর ঋণ। স্ত্রী পারিবারিক আদালতে মামলা করে মোহর আদায় করতে পারবেন। তবে অবশ্যই তালাক বা স্বামীর মৃত্যুর তিন বছরের মধ্যে মামলা করতে হবে। মোহর দাবি করার পর স্বামী তা পরিশোধ না করলে স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে পৃথক থাকতে পারবেন এবং ওই অবস্থায় স্বামী অবশ্যই তাঁর ভরণপোষণ করতে বাধ্য থাকবেন।

স্বামীর মৃত্যু হলে বকেয়া দেনমোহর ঋণের মতো হয়। এটি অবশ্যই শোধ করতে হয়। স্বামীর উত্তরাধিকারীরা এটি প্রদানে বাধ্য। অন্যথায় মৃত স্বামীর উত্তরাধিকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করে তা আদায় করা যায়। স্ত্রী আগে মারা গেলেও মোহর মাফ হয় না। স্ত্রীর উত্তরাধিকারীরা এই দেনমোহরের হকদার। তারাও মামলা করার অধিকার রাখে।

মোহর নির্ধারণে হযরত মুহাম্মাদ (সা) এর আদর্শ

আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা) এর কন্যা হযরত ফাতেমা (রা) এর মোহর এর পরিমাণ ছিল ৪৮০ দিরহাম, যা ১৪২৮ গ্রাম রূপার ওজনের বেশি নয়। বদরের যুদ্ধে হজরত আলি (রা) যে লৌহ বর্মটি পেয়েছিলেন তা বিক্রয় করে তিনি এ অর্থ সংগ্রহ করে তা মুহাম্মাদ (সা) এর হাতে তুলে দেন। এজন্য অনেকেই হযরত ফাতেমা (রা) এর মোহর হিসেবে হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহার লৌহ বর্মটির কথা উল্লেখ করেন।

নবীজির স্ত্রী হযরত আয়েশা (রা) বলেন, বিয়েতে তাঁর দেনমোহরের পরিমাণ ছিল ৫০০ দিরহাম, যা প্রায় ১৪৮৭.৫০ গ্রাম রূপার মুদ্রার সমান।

তবে শুধু উম্মে হাবীবা (রা) এর মোহর ছিল ৪০০০ দিরহাম, যা ১১,৯০০ গ্রাম রূপার মুদ্রার সমান। এ দেনমোহরের অর্থ বাদশাহ নাজ্জাশি রাসুলুল্লাহ (সা) এর পক্ষ থেকে আদায় করেছিলেন।

হজরত মুসা (আ) এর বিয়ের দেনমোহর আদায়ে তাঁর শ্বশুরের ৮-১০ বছরের মজুরি দিয়েছিলেন।

আল্লাহর রাসূল মদিনায় হিজরত করার পর অসচ্ছলতার কারণে নিঃস্ব এক সাহাবির কাছে কুরআন জানার বিনিময়ে একটি মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। আরেকজন গরিব সাহাবিকে রাসূল (সা) বলেছিলেন,

‘মোহরানা বাবদ তাকে কিছু দিতে চেষ্টা করো, তা যদি একটি লোহার আংটিও হয়’।

মোহর নিয়ে বাংলাদেশে প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা

দেনমোহর পরিশোধের ব্যাপারে বাংলাদেশে অনেক ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত আছে। এখানে অধিকাংশ মানুষ মোহর সন্তুষ্টচিত্তে পরিশোধ করতে চান না বরং এ বিষয়ে টালবাহানার আশ্রয় নেয়া হয়। অনেকে বাসর রাতেই ভালোবাসার অভিনয়ে স্ত্রীকে বিভ্রান্ত করে তাঁর কাছ থেকে দেনমোহরের দাবি মাফ করিয়ে নিতে চান; সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী আবেগের বশে এবং লজ্জাবশত মাফ করে দেন।

অনেক স্বামী তার স্ত্রীর মোহর আদায় না করা অবস্থায় মারা গেলে আত্মীয়-পড়শীরা এসে স্বামীর মৃতদেহ খাটিয়ায় উঠানোর আগে স্ত্রীর কাছে মোহরানার দাবি মাফ চাওয়ায়। মুসলিম আইন বিশেষজ্ঞদের মতামত হলো, এভাবে মোহরানার দাবি স্ত্রী মাফ করে দিলেও আসলে তা মাফ হবে না। কেননা, এটা স্ত্রীর উপরে এক প্রকার বলপ্রয়োগ।

অনেক স্বামী মনে করেন, স্ত্রীর ভরণ-পোষণসহ যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করলে আর দেনমোহর পরিশোধ করতে হবে না। কিন্তু দেনমোহর ও ভরণপোষণ দুটি পৃথক অধিকার। বিবাহিতা নারী বিবাহকালীন এবং বিবাহ বিচ্ছেদ হলে ইদ্দতকালীন সময়ে স্বামীর কাছ থেকে ভরণপোষণ পাওয়ার অধিকারী।

পরিশেষে

যদি পারস্পরিক বিয়ে ঠিকঠাক হওয়ার পরও বড় অঙ্ক দেনমোহরের জন্য বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করা হয় অথবা কোনো ধরনের তিক্ততার জন্ম নেয় তাহলে এটি কোনো পক্ষের জন্যই মঙ্গলজনক নয়। তা ছাড়া যেকোনো একদেশদর্শিতা, একরোখা মনোভাব ও অযাচিত হস্তক্ষেপ অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির অবতারণা করে না- সেটা বলা যায় না। সে জন্য নিঃসঙ্গতা কিংবা হারামের পথ ছেড়ে কেউ হালাল পথে আসতে চাইলে সবার সহযোগিতা করা ধর্মীয় দায়িত্ব। বিয়েকে যত বেশি সহজ করা যায় ততই সমাজের কল্যাণ।

লোক দেখানো ও ঐতিহ্যের দোহাই দিয়ে দেনমোহরের ব্যাপারে অস্বাভাবিক কিছু ধার্য করা ইসলাম সমর্থন করে না। ইসলামী শরিয়তে যৌতুক নেয়া যেমনি বৈধ নয়, তেমনি বরপক্ষকেও বেশি চাপাচাপি করা যুক্তিসঙ্গত নয়। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব পুরুষকে স্ত্রীর দেনমোহহর যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন।

বিয়ে সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য, সেবা, এবং পরামর্শ পেতে যোগাযোগ করুন তাসলিমা ম্যারেজ মিডিয়ার সাথে।
কল করুনঃ+880-1407-004393 অথবা +88-01782-006615 এ।
আমাদের মেইল করুন taslima55bd@gmail.com

10 COMMENTS

  1. Wow, awesome blog structure! How long have you ever been running a
    blog for? you make blogging glance easy. The full look of your website is great,
    let alone the content material! You can see similar here ecommerce

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here