5/5 - (2 votes)

বাংলাদেশে তালাক এর আইন নিয়ে এই কন্টেন্টটি সম্পূর্ণ তাসলিমা ম্যারেজ মিডিয়ার নিজস্ব। তাসলিমা ম্যারেজ মিডিয়ার পূর্ববর্তী অনেকগুলো ব্লগ হুবহু কপি করে অনেক ম্যাট্রিমনি সাইটে পাবলিশ করা হয়েছে, এ ব্যাপারটি আমাদের নজরে এসেছে। উক্ত ম্যাট্রিমনি সাইটের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই ব্লগের সম্পূর্ণ বা আংশিক অংশ কপি করে অন্য কোনো সাইট বিশেষ করে যেকোনো ম্যাট্রিমনি ব্লগে পাবলিশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তাসলিমা ম্যারেজ মিডিয়ার এর আগের ব্লগে বাংলাদেশে বিয়ের আইন নিয়ে পোস্ট করেছিলাম। আজকে তাসলিমা ম্যারেজ মিডিয়ার ব্লগে তালাকের আইন নিয়ে আলোচনা করবো।

ইসলামে সবচেয়ে নিকৃষ্ট বৈধ ও ঘৃণিত কাজ হচ্ছে তালাক। ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক যেন ছিন্ন না হয় সেজন্য সকল প্রকার চেষ্টা চালাতে বলা হয়েছে। কিন্তু স্বামী-স্ত্রী যদি উভয় পক্ষের একত্রে জীবন যাপন করতে অত্যন্ত কষ্টকর ও অসম্ভব হয়ে পড়ে সেক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করাটা উভয়ের জন্য কল্যাণকর ।

স্বামী-স্ত্রী যখন এক ছাদের নিচে একবারেই আর থাকতে পারে না তখনই আসে তালাকের কথা। সুখী দাম্পত্য জীনের জন্য যেমন বিয়ের ব্যবস্থা রয়েছে তেমনই ঝগড়া-কলহপূর্ণ দাম্পত্য জীবন থেকে রেহাই দিতে রয়েছে ডিভোর্স। স্বামী-স্ত্রীর যদি একেবারেই বনিবনা না হয় তাহলে সে সম্পর্ক জোর করে টিকিয়ে রাখতে হবে এমন কোনো কথা নেই। এমনটা হলে দুজনে মিলে মিউচুয়াল ডিভোর্স বা তালাক হওয়াটা সবচেয়ে ভালো। এতে দুই পক্ষেরই ভবিষ্যতে ভালো হয়।

আদর্শ জীবনসঙ্গী খুঁজতে

ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী তালাকের বিধান আর আমাদের দেশের তালাকের আইন নিয়ে অনেকের মধ্যে কনফিউশন এবং ভুল ধারণা আছে। ইসলামী শরীয়ত এবং বাংলাদেশের আইনে তালাকের বিধানের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য আছে। তাসলিমা ম্যারেজ মিডিয়ার আজকের পোস্টে বাংলাদেশে তালাকের বিধান নিয়ে সম্পূর্ণ আলোচনা করবো।

স্বামী কখন স্ত্রীকে তালাক দিতে পারবে?

মুসলিম আইন অনুযায়ী একজন পূর্ণ বয়স্ক এবং সুস্থ মস্তিস্কের স্বামী যে কোন সময় কোনরকম কারণ ছাড়াই তার স্ত্রীকে তালাক দিতে পারেন। তালাকের ক্ষেত্রে স্বামীর একচ্ছত্র ক্ষমতা আছে, কিন্তু তালাক দিতে হলেও এজন্য আইনের বিধান মানতে হবে। একজন স্বামী নিচের কারণগুলো দর্শানো সাপেক্ষে স্ত্রীকে তালকা দিতে পারবেন-

  • বর্তমান স্ত্রীর বন্ধ্যা বা সন্তান জন্মদানে অক্ষম হলে
  • স্ত্রী শারীরিকভাবে দূর্বল হলে
  • স্ত্রী পাগল বা মানসিকভাবে অসুস্থ হলে
  • স্ত্রী যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মকর্ম না করে
  • স্ত্রী যদি স্বামীকে প্রতিনিয়ত কষ্ট দেয়
  • স্ত্রী যদি প্রকাশ্যে কোনো অশালীন কাজে জড়িত হয়
  • স্ত্রী যদি ‘অসতী’, ‘চরিত্রহীন’, বা ‘কর্তব্যবিমুখ’ হয়

রাগের মাথায় তালাক দিলে বিচ্ছেদ হবে কি?

রাগের মাথায় তালাক দিলে অথবা মুখে তিন বার ‘তালাক’ শব্দটি উচ্চারণ করলে তালাক হবে কি না এ নিয়ে আমাদের সমাজে মিশ্র ধারণা আছে। এক্ষেত্রে সঠিক তথ্যটি হচ্ছে মুখে তিন বার ‘তালাক’ বা একসাথে ‘বায়েন তালাক’ শব্দটি উচ্চারণ করলে তালাক কার্যকরী হয় না। এমনকি মুখে উচ্চারণ ব্যতিত লিখিতভাবে ডিভোর্স লেও তা সাথে সাথে কার্যকরী হবে না।

স্ত্রী কি স্বামীকে তালাক দিতে পারবে?

বাংলাদেশের তালাকের আইন অনুযায়ী, বিয়ের সময় কাবিন নামায় যদি স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা দেওয়া থাকে তাহলে স্ত্রী নির্ধারিত কিছু কারণ দর্শানো সাপেক্ষে স্বামীকে তালাক দিতে পারবে । অবশ্য কাবিন নামায় স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা না দেয়া হলেও মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইন- ১৯৩৯ অনুযায়ী মুসলিম আইনে বিবাহিত কোন মহিলা এক বা একাধিক কারণে আদালতে তালাকের জন্য আবেদন করতে পারবেন। স্ত্রী যেসব কারণ দর্শানো সাপেক্ষে স্বামীকে তালাক দিতে পারেন সেগুলো হলো-

  • স্বামী স্ত্রীর থেকে দূরে থাকলে এবং চার বছর পর্যন্ত স্বামীর কোনো খোঁজখবর পাওয়া না গেলে
  • স্বামী একনাগাড়ে দুই বছর ভরণপোষণ না দিলে
  • স্বামী জেলে থাকলে, ৭ বছর বা তার বেশি মেয়াদের জন্য কারাদণ্ড প্রাপ্ত হলে
  • বিয়ে করার সময় স্বামী শারীরিকভাবে অক্ষম হলে এবং এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে
  • দুই বছর ধরে স্বামী পাগল থাকলে বা যেকোনো দুরারগ্য ব্যাধিতে ভুগলে

এসব কারণ ছাড়াও স্বামী যদি স্ত্রীকে মারপিট বা শারীরিক নির্যাতন করে, খারাপ চরিত্রের মহিলাদের সঙ্গে মেলামেশা করলে বা অনৈতিক জীবনযাপন করলে, ঘ) স্ত্রীর সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপ করলে, স্ত্রীর ধর্মকর্ম পালনে বাধা দিলে এবং একাধিক স্ত্রী থাকলে পবিত্র কোরআনের বিধান মোতাবেক সবার সমানভাবে ভরণপোষণ দিতে ব্যর্থ হলে স্ত্রী আদালতে তালাকের আবেদন করতে পারবেন।

স্ত্রী যদি স্বামীকে তালাক দিতে চায় তাহলে মনে রাখতে হবে যে ৯০ দিন পর্যন্ত স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে পূর্ণ ভরণপোষণ পাবে। আর গর্ভাবস্থায় তালাক দিলে সন্তান ভূমিষ্ট না হওয়া পর্যন্ত তালাক কার্যকর হবে না৷ সেক্ষেত্রে ৯০ দিন এবং সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার মধ্যে যেদিনটি পরে হবে সেদিন থেকে স্ত্রী কর্তৃক তালাক কার্যকর হবে৷ সুতরাং স্ত্রী গর্ভবতী হলে, সন্তান প্রসব না হওয়া পর্যন্ত তালাক কার্যকর হবে না।

তালাক দেওয়ার সঠিক নিয়ম

বিয়ে করার ক্ষেত্রে যেমন আইনী বৈধতা জরুরী তেমনি তালাকের ক্ষেত্রেও আইনের সম্মাত থাকা জরুরী। তালাক নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। আমাদের দেশের আইনমতে, স্বামী বা স্ত্রী যে কেউ যদি ডিভোর্স দিতে চায় তাহলে মুখে ‘তালাক’ বলার পর এই অপর পক্ষকে লিখিত নোটিশ দিতে হবে। পাশাপাশি একই নোটিশ তালাক যাকে দেয়া হয় তার এলাকার চেয়ারম্যান/কমিশনার/মেয়র বা প্রশাসকের বরাবরে পাঠাতে হবে।

চেয়ারম্যান তালাকের নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে দুই পক্ষের পুনঃমিলনের উদ্দেশ্যে একটি সালিশি কাউন্সিল তৈরি করবেন। যদি দুই পক্ষের মধ্যে কোনোভাবেই পুনঃমিলন সম্ভব না হয় তবে তালাক নোটিশ প্রদানের তারিখ হতে ৯০ দিনের মধ্যে তালাক কার্যকর হয়ে যাবে। এই ৯০ দিন পর্যন্ত বা ইদ্দতকালীন সময়ে স্ত্রীর ভরণপোষণ ও অন্যান্য খরচ স্বামীকেই বহন করতে হবে।

এখানে উল্লেখ্য যে, নোটিশ পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে চেয়ারম্যান/মেয়র সালিশের কোনো উদ্যোগ না নিলে ৯০ দিন অতিবাহিত হলে তালাক কার্যকর বলে গণ্য হবে। আর তালাকের নোটিশ দেয়ার সময় স্ত্রী যদি গর্ভবতী থাকে তাহলে বাচ্চা হওয়ার পর বা গর্ভকাল শেষ হওয়ার পর তালাক কার্যকর হবে।

সালিশি পরিষদ প্রতি ৩০ দিনে একটি করে মোট তিনটি নোটিশ দেবেন। এর মধ্যে যিনি তালাক দিয়েছেন তিনি নোটিশ প্রত্যাহার করলে আর তালাক কার্যকর হবে না।

এখানে আরেকটি বিষয় বলা দরকার যে তালাক দেয়ার ক্ষেতত্রে অবশ্যই চেয়ারম্যান/মেয়র এবং স্ত্রীকে নোটিশ প্রদান করতে হবে। যদি নোটিশ প্রদান করা না তাহলে স্বামী এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড অথবা ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় প্রকার দন্ডনীয় হবেন, কিন্তু তালাক বাতিল হবে না। উক্ত তালাক কার্যকর হবে।

বাংলাদেশে হিল্লা বিয়ের আইন

বাংলাদেশের আইনে হিল্লা বিয়ে নিষিদ্ধ। ইসলামী বিধানে তালাকের নোটিশ দেওয়ার পর একবার ইদ্দতকাল বা ৯০ দিন পূর্ণ হওয়ার পর পুনরায় বিয়ে করতে চাইলে হিল্লা বিয়ের কথা বলা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের আইনে তিনবার তালাক কার্যকর হয়ে যাওয়ার পর চতুর্থবারের মতো পুনরায় বিয়ে করতে চাইলে তখন হিল্লা বিয়ের অনুমতি রয়েছে। অর্থাৎ তিন বার তালাকের ঘোষণা এবং তিন বার ইদ্দত কাল অতিবাহিত হয়ে গেলে চতুর্থবার বিয়ের সময় হিল্লা বিয়ের করতে হবে। প্রথম ইদ্দতকাল সম্পূর্ণ হওয়ার পর স্বামী-স্ত্রী সমঝোতার মাধ্যমে পুনরায় সংসার করতে চাইলে নতুন করে বিয়ে করে সংসার করতে পারবে। এখানে তৃতীয় বিয়ে বা হিল্লা বিয়ের কোনো প্রয়োজন নেই।

হিল্লা বিয়ে হলো ইদ্দতকাল সম্পূর্ণ হওয়ার পর স্ত্রীকে তৃতীয় কোন ব্যক্তির সাথে বিয়ে দিতে হবে, এরপর সে স্বামী স্ত্রীকে তালাক দিবে তারপর আগের স্বামী তাকে বিয়ে করতে পারবে। আর স্বামী বা স্ত্রী তালাকের নোটিশ পাওয়ার ৯০ দিন পূর্ণ হওয়ার আগেই যদি স্বামী বা স্ত্রী অন্য কারও সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, তাহলে সেই বিয়ে অবৈধ বলে গণ্য হবে।

স্ত্রী তালাক দিলে কি মোহরানা মাফ হয়ে যাবে?

আমাদের দেশে বিবাহিত পুরুষরা মনে করেন, স্ত্রী যদি তালাক দেয় তাহলে তাকে আর মোহরানা দিতে হবে না। এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। স্ত্রী তালাক দিলেও তার মোহরানা পরিশোধ করতে হবে। এ ছাড়া যদি স্ত্রীকে বিয়ের পর থেকে কোনো ভরণপোষণ না দেওয়া হয়, তাহলে দেনমোহর, ভরণপোষণের খরচ এবং ইদ্দতকালীন সময়ের অর্থাৎ তালাকের নোটিশ প্রদান থেকে তালাক কার্যকর হওয়া পর্যন্ত সময় ভরণপোষণের খরচও স্বামী দিতে বাধ্য থাকবেন। এর অন্যথা হলে স্ত্রী আদালতের সাহায্য নিতে পারবেন।

স্ত্রী যদি কখনো নিজের ইচ্ছায় কোনো কিছুর প্রতিদানে স্বামীর মাধ্যমে তালাক নিয়ে নিজেকে বিবাহবন্ধন থেকে মুক্ত করেন, কেবল সে ক্ষেত্রেই স্ত্রী দেনমোহর পাবেন না। মোহরানা দাবির তিন বছরের মথ্যে মামলা না করলে স্ত্রী বা তার উত্তরাধিকার মোহরানা পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।

বর্তমানে শিক্ষিত ও সচেতন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নারীরা আর্থিক দিক থেকে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এটা একটা পজিটিভ দিক। এই দিকটা সবক্ষেত্রেই হেল্প করছে। নারীরা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে বুঝতে পারছেন এবং অধিকার আদায় করার ব্যাপারেও তারা এখন অগ্রগামী।

তালাকের পর সন্তান কার কাছে থাকবে?

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তালাক হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাদের সন্তান। প্রথমত, সন্তান কার কাছে থাকবে এই নিয়ে বাবা-মায়ের মধ্যে ঝামো তৈরী হয়, আর সন্তানের ভবিষ্যৎ তো অনিশ্চিত হয়ই।

বাংলাদেশে মুসলিম আইন অনুযায়ী, বাবা হচ্ছেন অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের আইনগত অভিভাবক আর মা হচ্ছেন সেই সন্তানের তত্ত্বাবধায়ক। এখন বিচ্ছেদের পর সন্তান যদি মায়ের কাছে থাকে, তাহলে অনেক বাবা মনে করেন সন্তানের ভরণপোষণের খরচ দিতে হবে না। এটা ভুল ধারণা। সন্তান বাবা কিংবা মা যার কাছেই থাকুক না কেন, আইনগতভাবে সন্তানের ভরণপোষণের খরচ দেয়ার দায়িত্ব সম্পূর্ণ বাবার। বাবা যদি সন্তানের ভরণপোষণের খরচ না দেন তাহলে মা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পারিবারিক আদালতে মামলা করতে পারবেন।

এবার মায়ের কথায় আসি। মা যদি বাবার কাছ থেকে আলাদা থাকেন কিংবা তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়, তাহলেও মা তার সন্তানকে দেখাশোনা করার ক্ষমতা হারাবেন না। ছেলে সন্তানের ক্ষেত্রে সাত বছর বয়স পর্যন্ত এবং মেয়ে সন্তানের বয়ঃসন্ধি বয়স পর্যন্ত মা তার সন্তানদেরকে নিজের কাছে রাখতে পারবেন। সন্তান যখন মায়ের কাছে থাকবে তখন তারা বাবার সাথে দেখা করতে পারবে। এই সময়ের স্বামী চাইলে তার সন্তানদের নিয়ে যেতে পারে।

সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য মা চাইলে নির্দিষ্ট বয়সসীমার পরও সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে পারবেন, এজন্য আদালতের অনুমতির প্রয়োজন হতে পারে। মা তখনই তার সন্তানকে নিজের হেফাজতে রাখার ক্ষমতা হারাতে পারেন যদি তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন।

ডিভোর্সের পর সন্তান কার কাছে থাকবে, এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে পারিবারিক আদালতে আশ্রয় নেয়া যাবে। পারিবারিক আদালত তখন আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে, সন্তান বাবা নাকি মায়ের কাছে থাকবে। আইনের পাশাপাশি আদালতের ক্ষমতা রয়েছে সন্তানের কল্যাণের দিকটি বিবেচনা করা। আদালত সন্তানের সুস্থ, স্বাভাবিক বিকাশের দিকটি বিবেচনা করে বাবা বা মা যে কারো কাছে রাখার আদেশ দিতে পারেন। অনেক সময় সন্তান যদি সাবালক হয় তাহলে সন্তানের মতামতকেও আদালত গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।

বিয়ে সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য, সেবা, এবং পরামর্শ পেতে যোগাযোগ করুন তাসলিমা ম্যারেজ মিডিয়ার সাথে।
কল করুনঃ+880-1407-004393 অথবা +88-01782-006615 এ।
আমাদের মেইল করুন taslima55bd@gmail.com

11 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here