Rate this post

সব পুরুষের উচিত তার বিবাহিত স্ত্রী কে মনে প্রাণে ভালোবাসা। যার সাথে সারা জীবন একসাথে কাটাতে হবে তাকে ভালোবাসাটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু শুধু তাকে ভালোবাসলে হবে? কখনো না। তাকে ভালোবাসার পাশাপাশি ভালোবাসতে হবে তার সাথে সম্পৃক্ত থাকা অন্যন্য মানুষগুলোকেও। তাহলে সেই মানুষগুলো কে?

* স্ত্রী কে ভালোবাসার পর সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে যিনি জন্ম দিয়েছেন আপনার স্ত্রী কে। অর্থাৎ আপনার শ্বাশুড়িকে অবশ্যই ভালোবাসতে হবে, যথাযথ শ্রদ্ধা করতে হবে ঠিক আপনার মায়ের মতো। আপনার মায়ের প্রতি আপনি যেমন যত্নবান হন তেমনি শ্বাশুড়ির প্রতিও যত্নবান হতে হবে।

শ্বশুড়বাড়ি বেড়াতে গেলে শ্বাশুড়ির জন্য তার পছন্দের খাবার ও বাজার সদাই করে নিয়ে যাবেন৷ ঈদ বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোতে মায়ের জন্য যেমন পোষাক কিনেন শ্বাশুড়ির জন্যও তেমনি পোষাক কিনে উপহার দিবেন। দেখবেন তিনি অনেক খুশি হবে।

অসুস্থ হলে শুধু বউকে পাঠাবেন না, দেরি না করে স্ত্রীকে সাথে নিয়ে দেখতে চলে যাবেন। নিয়মিত ফোন করে খোঁজ খবর নেওয়ার চেষ্টা করবেন।

* আপনার ভালোবাসার স্ত্রী এর জন্মদাতা পিতা। তার প্রতিও যেন ভালোবাসা ও সম্মানের কমতি না হয়। তিনি অনেক কষ্ট করে আপনার স্ত্রী কে লালন পালন করেছেন এবং বিশ্বাস করে আপনার হাতে তুলে দিয়েছেন। তাকেও ঠিক ততটা সম্মান করুন যতটা আপনার জন্মদাতা পিতাকে করেন।

আদর্শ জীবনসঙ্গী খুঁজতে

কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে তার পরামর্শ নিন। অথবা তিনি যদি আপনার কাছে কোনো পরামর্শ চান তখন উপযুক্ত পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করবেন। সময়ে সময়ে তার খোঁজ খবর রাখবেন। এমন কিছু করবেন না, যাতে সে কষ্ট পায়।

* বোনের স্বামী অর্থাৎ দুলাভাইয়ের কাছে প্রত্যেকের অনেক আবদার থাকে। আপনার স্ত্রী এর ছোট ভাই বোন থাকলে তারাও বিভিন্ন সময় আপনার কাছে বিভিন্ন কিছু আবদার করতে পারে। যতটুকু সম্ভব, তাদের আবদার পূরন করার চেষ্টা করবেন। আদর, স্নেহ ও ভালোবাসা দিয়ে সবসময় বড় ভাইয়ের মতো ছায়া হয়ে থাকার চেষ্টা করবেন। শুধু স্ত্রী কে নিয়ে নয়, মাঝেমধ্যে তাদেরকে নিয়েও ঘুরতে যান। তারা অনেক খুশি হবে। আপনাকেও তারা বড় ভাইয়ের মতো শ্রদ্ধা করবে ও ভালোবাসবে।

স্ত্রী এর বড় ভাই বোন থাকলে তাদেরও মান্য করুন। তাদের আদেশ ও উপদেশ মানার চেষ্টা করবেন। তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন।

* স্ত্রী এর বন্ধু বান্ধবী থাকতে পারে। তাদের সাথে আপনার স্ত্রী কোনো রকম যোগাযোগ করলে তাতে বাধা প্রদান করবেন না। কারণ প্রত্যেকটি মানুষের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু সময় ও স্মৃতির সাথে মিশে থাকে তার বন্ধদের সাথে। চাইলে আপনিও তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন। মাঝেমধ্যে স্ত্রীদের বন্ধুদের বাসায় দাওয়াত করে নিয়ে আড্ডা, খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থাও করতে পারেন। অথবা বাহিরে কোথাও ঘূরে আসতে পারেন।

* স্ত্রীর আত্মীয় স্বজনরাও কিন্তু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। স্ত্রী মাঝেমধ্যেই তার আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে বেড়াতে দিন, সময় হলে আপনিও ঘুরে আসুন। এতে সম্পর্ক ভালো থাকবে।

এসব কিছু শুধু আপনার স্ত্রী কেই ভালো রাখবে না, ভালো রাখবে সেই মানুষগুলোকেও। এবং ভালো থাকবে আপনাদের সম্পর্কও।

বিয়ে সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য, সেবা, এবং পরামর্শ পেতে যোগাযোগ করুন তাসলিমা ম্যারেজ মিডিয়ার সাথে।
কল করুনঃ+880-1407-004393 অথবা +88-01782-006615 এ।
আমাদের মেইল করুন taslima55bd@gmail.com

6 COMMENTS

  1. Aw, this was a really nice post. Taking the time and actual effort to produce a superb article… but what can I say… I procrastinate a whole lot and don’t manage to get anything done.

  2. Howdy! This post could not be written any better! Going through this post reminds me of my previous roommate! He continually kept talking about this. I most certainly will forward this article to him. Fairly certain he’s going to have a great read. Many thanks for sharing!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here