3.6/5 - (5 votes)

পারস্পরিক ভালোলাগা থেকেই শুরু হয় ভালোবাসা যার শুভ পরিণতি হলো বিয়ে। সুস্থ দাম্পত্য সম্পর্কে ভালোবাসা প্রকাশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো শারীরিক সম্পর্ক । অন্যদিক থেকে এটি শারীরিক প্রয়োজনীয়তার অংশও বটে। যৌন মিলন কি শুধুই আনন্দ ও প্রজননের জন্য দরকার? নাহ্, শারীরিক চাহিদা ছাড়াও এর অনেক গুণ আছে।

স্বাস্থ্যকর এবং সুখী যৌন জীবন প্রত্যেকেই চায়। আলট্রামডার্ন জীবনে রাতদিন শুধু ক্যারিয়ার আর ক্যারিয়ারের চিন্তা করে আপনি হয়তো সঙ্গীর কথা ভুলেই গেছেন। এভাবে সঙ্গীকে দীর্ঘদিন অবহেলার কারণে সংসারে নানা অশান্তি এমনকি ডিভোর্সও হতে পারে। সুস্থ শারীরিক সম্পর্কের ফলে ব্যক্তিজীবন আনন্দে ভরপুর হয়ে যায়।

আজকে শারীরিক সম্পর্ক বা যৌন মিলনের সুবিধাগুলো জেনে নিন-

শারীরিক সম্পর্ক রিল্যাক্সড রাখে

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক হলে তা উভয়কেই রিল্যাক্সড থাকতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সম্ভব না হলেও সপ্তাহে অন্তত ২-৩ দিন যৌন মিলন করলে স্ট্রেস-ফ্রি থাকা যায়। ডাক্তাররা বলেন, যারা নিয়মিত যৌন মিলন এ অভ্যস্ত, তাঁদের স্ট্রেসে ভুগতে হয় না। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব স্বামী-স্ত্রীরা ঘন ঘন শারীরিক সম্পর্ক করেন তাদের মনের জোর বাকিদের তুলনায় অনেক বেশী। যৌন মিলন এ মন রিফ্রেশড থাকে ফলে ঘরে অশান্তি কম হয়৷

শারীরিক সম্পর্ক এর পর ভালো ঘুম হয়

যৌন মিলন এর ফলে অক্সিটোসিন হরমোন রিলিজ হয়, তাই শারীরিক সম্পর্ক এর পর আপনি যখন ঘুম দেন তখন সেটা হয় অনেক বেশি আরামদায়ক। এবং রাতের ভালো ঘুম আপনাকে রাখে স্বাস্থ্যবান এবং টেনশন ফ্রি। যাদের ঘুমে ব্যাঘাত হয় তারা অতি অবশ্যই এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে উপকার পাবেন৷

আদর্শ জীবনসঙ্গী খুঁজতে

বেশ ভালো ব্যায়াম

স্বামী-স্ত্রীর যৌন মিলন এর সময় বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মুভমেন্ট হয়। ফলে শারীরিক সম্পর্ক ব্যায়ামের কাজ করে। নিয়মিত শারীরিক মিলনের ফলে শরীর থেকে প্রচুর ক্যালোরি খরচ হয়, এতে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে, শরীরে রক্তসঞ্চালন ভালো হয়। জানলে অবাক হবেন, ১ সপ্তাহ নিয়মিত হাঁটা-চলা করলে যে পরিমান ক্যালোরি বার্ন হয়, সপ্তাহে তিন দিন নিয়মিতভাবে শারীরিক সম্পর্ক করলে আপনার একই পরিমান ক্যালোরি বার্ন হবে।

আর যদি আপনারা সারা বছর রেগুলার যৌন মিলন করতে পারেন তাহলে ৭৫ মাইল জগিং করার সমান ক্যালোরি শরীর থেকে নির্গত হবে৷ গর্ভবতী মেয়েদের যদি রোজ শারীরিক মিলন ঘটে তাহলে কোমরের মাংস পেশিকে শক্তি যোগায়৷

শারীরিক মিলন এ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে

নিয়মিত যৌন মিলন শরীরে বহু রোগের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরী করে। যে সমস্ত পুরুষ সুস্থ যৌন মিলন এ অভ্যস্ত, তাঁদের প্রস্টেট ক্যানসারের আশঙ্কা কমে। আর মহিলাদের ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। সপ্তাহে ১-২ বার শারীরিক সম্পর্ক হলে শরীরে ‘ইমিউনোগ্লোবিউলিন-এ’ নামে এক ধরনের অ্যান্টিবডির সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, যা জ্বর-সর্দিকাশি প্রভৃতি রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমিয়ে দেয়।

যৌন মিলন শারীরিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে

ডাক্তাররা বলছেন, যত বেশী সুস্থ শারীরিক সম্পর্ক করবেন শরীরে তত বিশুদ্ধ অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। আর এমনটা যত হবে, তত ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে। তাই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সেক্স মহৌষধ। শুধুমাত্র উজ্জ্বল ত্বক নয়, সেক্স করার ফলে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায় আর আপনার ঠোঁট করে তোলে আরও বেশি নরম ও সুন্দর।

যৌন মিলন এর সময় বডি মুভমেন্টের জন্য শরীর ঘামে। এর ফলে স্কিন পোরে জমে থাকা ময়লা বাইরে বেড়িয়ে আসে,যার ফলে নতুন আর মুখ পরিষ্কার করার দরকার হয় না। আর নিয়মিত যৌন মিলন করার ফলে হরমোন লেভেল কন্ট্রোলে থাকে। যার ফলে মুখে ব্রণ বা র‌্যাশ হয় না।

নিজেকে যদি ইয়াং দেখাতে চান, তা হলে রোজ স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করা চাই। সেক্স করার সময় আপনার শরীরে কোলাজেনের পরিমাণ বেড়ে যায় আর এই কারণে মুখের চামড়া থাকে টানটান। তাই সহজে মুখে বলিরেখা পড়ে না।

ব্লাড প্রেশার স্বাভাবিক রাখে

যারা ব্লাড প্রেশারে ভুগছেন তারা সপ্তাহে ২-৩ বার সঙ্গীর সাথে যৌন মিলন করা শুরু করুন। শারীরিক সম্পর্ক এর সময় শরীরে একাধিক পরিবর্তন হয়ে থাকে, যে কারণে ব্লাড প্রেশার একেবারে স্বাভাবিক লেভেলে চলে আসে। শারীরিক মিলনের সময় উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে তার সারা শরীরে রক্তসঞ্চালনের মাত্রা বেড়ে যায়৷ এর ফলে সারা শরীরের প্রতিটি কোষে সঠিক মাত্রায় অক্সিজেন পৌঁছায়৷

হার্টের জন্য সবচেয়ে ভালো

প্রায় প্রতিদিন যৌন মিলন এ লিপ্ত হলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা থাকে না। সপ্তাহে ৩ বার সেক্স করলে হার্টের দারুণ উন্নতি ঘটে। তাছাড়া মাথাব্যথা সারাতে শারীরিক সম্পর্ক এর জুড়ি নেই। অর্গ্যাজমের আগে অক্সিটোসিন হর্মোনের স্তর সামান্য থেকে পাঁচ গুন বেঁড়ে যাওয়ায় এণ্ড্রোফিন হর্মোন নিঃসৃত হতে থাকার ফলে মাথা ব্যাথা, মাইগ্রেন আর আর্থারাইটিসএর ব্যাথা থেকে আরাম পাওয়া যায়। তাই ব্যাথা কমানোর জন্য শারীরিক মিলন করুন আর ব্যাথা থেকে পান ইনস্ট্যান্ট রিলিফ।

প্রজনন ক্রিয়ায় সহায়তা করে

নিয়মিত যৌন সম্পর্ক শরীরে স্পার্মের পরিমাণ বাড়ায়। এর ফলে সন্তান হওয়ার ক্ষেত্রে কোন ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হয় না। প্রতিদিন যৌন সম্পর্কে অভ্যস্ত হয়ে ওঠা একজন নারীর প্রজনন ক্রিয়ায় সক্রিয়তা বেশি থাকে। আপনার যদি বিয়ের পরপরই বাচ্চা নেওয়ার প্ল্যান থাকে তাহলে সপ্তাহে কম করে ২ বার অবশ্যই শারীরিক সম্পর্ক করুন। এমনটা করলে দেখবেন বাচ্চা নিতে আর কোনও জটিলতা থাকবে না।

আত্মবিশ্বাস আর কর্মক্ষমতা বাড়ে

যে সমস্ত দম্পতি যৌন মিলন খুব ভালোভাবে এনজয় করেন তাদের মধ্যে কনফিডেন্স থাকে বেশি। শারীরিক সম্পর্ক এর সময় শরীর থেকে প্রচুর পরিমানে হরমোন নিঃসরণের ফলে দু’জনেরই কাজ করার বাড়ে। এতে সারাদিনের কাজের এনার্জি পাওয়া যায় ফলে ফিটনেস লেভেল বাড়ে৷ শারীরিক মিলনের ফলে ব্যক্তি সারাদিন চাঙ্গা অনুভব করে৷

শারীরিক সম্পর্ক আয়ু বাড়ায়

নিয়মিত যৌন সম্পর্ক আয়ু বাড়ায়৷ তাই বেশী দিন বাঁচতে চাইলে আজ থেকেই সপ্তাহে ২-৩ বার শারীরিক সম্পর্ক করার পরিকল্পনা নিন। যারা সপ্তাহে কম করে ৩ বার সেক্স করেন, তাদের কোনও রোগের কারণে মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যায়। যৌন মিলন আপনাকে রাখে সতেজ ও তরুণ। যৌন মিলন শরীরের এনডোরফিনস দূর করে এবং ভিটামিন ডি এর মাত্রা বাড়ায় যা আপনাকে শরীর এবং মন দুই দিক থেকেই রাখে ইয়াং রাখে।

শারীরিক সম্পর্ক এ মেয়েদের স্বাস্থ্যগত সুবিধা

যে সমস্ত নারীরা স্বামীর সঙ্গে রেগুলার যৌন মিলন করেন তাদের স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। শারীরিক সম্পর্ক নারীদের মস্তিষ্কের হিপ্পোক্যাম্পাস এর কোষ বৃদ্ধিতে উদ্দীপনা যোগায়। তাছাড়া মিলনের সময় নারীরা অধিক আনন্দের সাথে সাথে যৌনাঙ্গ টাইট করা সহ বেশী বয়সেও অন্যদের তুলনায় সুস্থ থাকেন। অনেক মেয়েরই পিরিয়ডের সময় মারাত্মক ক্র্যাম্প লাগার মতো সমস্যা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রেও শারীরিক সম্পর্ক সাহায্য করতে পারে।

মহিলারা শারীরিক মিলন এ অর্গ্যাজমের সময় তাদের হার্টের গতি বেড়ে যায়, ফলে তাদের কার্ডিওভাস্কুলারের সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে। আর যে সব মেয়েদের সেক্সুয়াল লাইফ খুব ভালো হয় তাদের পিরিয়ডের ক্ষেত্রে সমস্যা কম হয়৷

শারীরিক সম্পর্ক কিভাবে দাম্পত্য সম্পর্ক ভালো রাখে?

নিয়মিত যৌন মিলন এর ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব কম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্তরিকতা বৃদ্ধি পায়। শারীরিক সম্পর্ক মানবদেহে অক্সিটসিন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। অক্সিটসিন হরমোনকে ডাক্তাররা লাভ-হরমোনও বলে থাকেন। এই লাভ হরমোনটি স্বামী-স্ত্রী পরষ্পরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন এবং ভালবাসা শক্তিশালী করে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক মিলনের ভালো বোঝা-পড়া থাকলে তার একে ওপরকে কখনও ঠকায় না৷ তাদের ঘনিষ্ঠতা তাদের এমন কাজ করতে বাধা দেয়৷

দাম্পত্য সম্পর্কের একঘেয়েমী কাটাতে যৌন মিলন ভীষণভাবে জরূরী৷ তাছাড়া শারীরিক মিলনের ফলে ব্যক্তির মনে চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়ে৷ তার মানসিক প্রশান্তি তার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের পরিমান বাড়িয়ে তোলে৷

যৌন মিলনের সবচেয়ে ভালো সময় কখন?

সুস্থ শারীরিক সম্পর্ক এর সবচেয়ে ভালো সময়টি হলো সকালবেলা। সকালবেলা দম্পতিরা যৌন মিলনে বেশ কিছু সুবিধা ভোগ করেন। যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা যদি সকালে যৌন মিলন করে তাহলে তারা খুব ভালো রেজাল্ট পান। ডায়াবেটিস রোগীরা সেক্সের সময় শরীর থেকে প্রায় ৩০০ ক্যালোরী বার্ন হয়, যা ডায়াবেটিস কমানোর জন্য যথেষ্ট।

ঘুমের মধ্যে পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। দিনের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শতকরা ২৫ থেকে ৫০ ভাগ বেশি। ফলে সকালে তারা যৌন মিলনের জন্য অনেক বেশি আগ্রহী থাকে এবং এটিই যৌন মিলন এর সবচেয়ে ভালো সময়। এই সময় ‘অর্গ্যাজম’ হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে।

মেয়েদের ক্ষেত্রে দুপুরবেলায় কর্টিসল হরমোনের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি হয়। এতে শারীরিক সম্পর্ক এর প্রতি তাদের মনোযোগ বেশি থাকে। অপরদিকে একই সময়ে পুরুষের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের পরিমাণ বেশি থাকে, ফলে তারা সঙ্গীর চাহিদা অনুভব করেন। ফলে এ সময় সেক্সের সুফল পান দু’জনেই।

বিয়ে সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য, সেবা, এবং পরামর্শ পেতে যোগাযোগ করুন তাসলিমা ম্যারেজ মিডিয়ার সাথে।
কল করুনঃ+880-1407-004393 অথবা +88-01782-006615 এ।
আমাদের মেইল করুন taslima55bd@gmail.com

7 COMMENTS

  1. Профессиональный сервисный центр по ремонту бытовой техники с выездом на дом.
    Мы предлагаем: ремонт крупногабаритной техники в москве
    Наши мастера оперативно устранят неисправности вашего устройства в сервисе или с выездом на дом!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here