বিয়ের পর সব ঝামেলা আর ধকল কাটিয়ে একটু নিরিবিলিতে প্রিয় মানুষটির সান্নিধ্য আর নিজেদের পারস্পরিক বোঝাপড়াটা আরও শক্ত করে নিতে নব দম্পতিদের সবথেকে বেশি প্রয়োজন হানিমুন। হানিমুন মানেই একটা স্পেশাল ব্যাপার। আকর্ষণীয় সব জায়গাগুলোতে ভ্রমণ, রোমান্টিক ডিনার আর প্রিয়জনের সাথে একান্ত কিছু সময়- সব মিলিয়ে হানিমুন এ সবকিছু একটু বেশিই স্পেশাল।
একসময় বাংলাদেশে নব দম্পতিদের হানিমুন বলতে বোঝানো হতো কক্সবাজার, রাঙামাটি আর থাইল্যান্ড ঘুরতে যাওয়াকে। সেই গল্প এখন পাল্টে গেছে। সারাজীবন মনে রাখার মত স্বপ্নময় হানিমুন তো সেটাই যেখানে সমুদ্র সৈকতে দুজন-দুজনার হাতে হাত রেখে শুয়ে থাকা, সমুদ্রকে পাশে রেখে মোহনীয় ক্যান্ডেল লাইট ডিনার, অ্যাডভেঞ্চারপূর্ণ বাংগি জাম্পিং, প্যারাগ্লাইডিং, জিপলাইনিং আর সাফারির মতো মাথা নষ্ট করা অ্যাক্টিভিটি থাকবে!
দুজন দুজনকে জানার জন্য, আরও কাছে আসার জন্য মধুচন্দ্রিমা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই দুটি মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হানিমুন বা মধুচন্দ্রিমা হওয়া উচিত ’পারফেক্ট’, তা পৃথিবীর যে প্রান্তেই হোক না কেন। এজন্য প্রয়োজন জাস্ট একটা সুন্দর পরিকল্পনা আর ফুরফুরে মেজাজ আর ঝামেলা মুক্ত গন্তব্য।
হানিমুন এ যাবার আগে অবশ্যই একটা প্ল্যান থাকতে হবে, কবে যাবেন, কোথায় যাবেন, কত দিন থাকবেন, কী কী করবেন, ইত্যাদি। নিজেদের বাজেটের মধ্যেই কিভাবে হানিমুনে যাবেন আর কিভাবে কি প্ল্যান করবেন তা নিয়েই আমাদের আজকের আলোচনা-
পছন্দের লোকেশন বেছে নিন
হানিমুন এর প্রস্তুতির শুরুতেই ঠিক করে ফেলুন কোথায় যাবেন। নিজেদের পছন্দের জায়গাগুলো লিস্ট করে ফেলুন। দুজনেরই পছন্দের জায়গা, দর্শনীয় স্থান আছে এমন জায়গাগুলোই বেছে নিন। যেখানে গেলে মনে হয় নিজেরা কম্ফোর্টেবল থাকতে পারবেন এমন জায়গাই পছন্দ করুন মধুচন্দ্রিমার জন্য। আবার হানিমুনে যাবেন বলেই যে খুব দূরেও কোথাও যেতে হবে তা কিন্তু নয়। আপনি কাছে পিঠে কোথাও ভাল স্পট খুঁজে নিয়েও হানিমুন করে আসতে পারেন। যেহেতেু বিয়ের পরপরই হানিমুন এ যাওয়া হয়, তাই আপনার বিয়ের তারিখের সঙ্গে মিলিয়ে জেনে নিন, ওই সময়টায় কোথায় কেমন আবহাওয়া থাকতে পারে।
আদর্শ জীবনসঙ্গী খুঁজতে
বাজেট নির্ধারণ করুন
এবার আসি বাজেটের কথায়। স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে ঠিক করুন, কে কত টাকা হানিমুন বাবদ খরচ
করতে পারবেন। দুজনে মিলে শেয়ার করলে হানিমুন ভালো ও সচ্ছলতার সাথে করে আসতে পারবেন।
বিয়ের আগে থেকেই হানিমুনের জন্য আলাদা করে কিছু টাকা রেখে দিন যাতে বিয়ের খরচের পর হানিমুন নিয়ে চিন্তা করতে না হয়। আবার বিয়েতে পাওয়া গিফট এবং টাকা দিয়েও কিন্তু হানিমুনের খরচ নিতে পারেন। সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে নিয়ে ফেলুন প্রথমেই। পারলে পরিবারের সঙ্গেও আলাপ করে নিন।
আগে থেকেই বুকিং দিন
হানিমুন এ যদি দেশের বাইরে যান তাহলে আগে থেকেই টিকিট বুকিং দিন, এতে অনেক কম খরচে টিকিট পাবার সুবর্ণ সুযোগ পাবেন। পাসপোর্ট, হোটেল বুকিং এবং ভিসা-সংক্রান্ত কাজগুলো সময় থাকতে সেরে ফেলুন। কিছু কিছু দেশে অন-অ্যারাইভাল ভিসা পাওয়ার সুবিধা থাকায় ভিসা নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। তারপরও দেখা যায়, পাসপোর্ট, ছবি, এয়ারটিকিট বুকিং এই সম্পর্কিত কিছু কাজ জমা হয়ে যায়। সুতরাং আগে থেকেই এগুলো গুছিয়ে রাখলে চিন্তামুক্ত হওয়া যায়, প্রয়োজনে ট্রাভেল এজেন্সীর সাহায্য নিতে পারেন।
গোছগাছ শুরু করে দিন
এরপর শুরু করুন হানিমুন এর জন্য গোছগাছ। হানিমুন এ যেতে কী কী কেনার আছে, লিস্ট করে কিনে ফেলুন। হানিমুন এর জন্য হালকা লাগেজ, হানিমুন ডেস্টিনেশনের আবহাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জামাকাপড়, জুতা, হেডফোন, ছবি তোলার জন্য ক্যামেরা, পাওয়ার ব্যাংক দিয়ে লাগেজ গুছিয়ে ফেলুন। এর সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় প্রসাধনী, কসমেটিকস, সানস্ক্রিন ইত্যাদি কিনে ফেলুন, সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসার কিছু ওষুধ নিতে ভুলবেন না।
দরকারি কাগজপত্র
ভ্রমণের টিকিটসহ বাকি সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ফটোকপি করে রাখুন। মানি ট্রানজেকশনের কাজ থাকলে সেরে ফেলুন, সঙ্গে যে হ্যান্ডব্যাগটা সঙ্গে নেবেন, টিকিট এবং যাবতীয় কাগজ এখনই সেটায় রেখে দিন। হোটেলগুলোর নম্বর ফোনবুক ছাড়াও ডায়েরিতে আলাদাভাবে লিখে রাখুন। ব্যাংক এবং এয়ারলাইনসের যাবতীয় কাজ সেরে ফেলুন। ভ্রমণটা যদি দেশে হয় তাহলে বাসে অথবা ট্রেনের টিকিট করে ফেলুন।
হানিমুন এর ফাইনাল চেকিং
ফাইনাল বুকিং দেবার আগে বাজেট, তারিখ সবকিছু আরেকবার চেক করে নিন। যেখানে যাচ্ছেন সেখানকার হোটেলগুলো সম্পর্কে খোঁজখবর নিন। যদি এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার ব্যাপার থাকে সেক্ষেত্রে ট্রান্সপোর্ট কী হবে তা ঠিক করে রাখুন। শেষ সময়ে কিছু কেনাকাটার দরকার হলে করে নিন। দরকার হলে ট্রাভেল এজেন্টের সঙ্গে সবকিছু আরেকবার ঝালাই করে নিন।
তাড়াহুড়া করবেন না, রিল্যাক্স থাকুন
হানিমুন এ রওনা দেবেন এমন সময়ে, যাতে এয়ারপোর্ট কিংবা ট্রেন অথবা বাসস্টেশনে পৌঁছে যথেষ্ট সময় হাতে থাকে। খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু না হয়ে যদি ছোটখাটো কিছু মিস করে থাকেন, তাহলে অস্থির হবার কিছু নেই। প্রচুর পানি পান করুন। বিয়ের ধকল সামলে জার্নি শুরু করেছেন। সুতরাং ফুরফুরে আর সতেজ থাকবেন। নতুন জায়গায় বুঝেশুনে যাবেন। যেখানে যাচ্ছেন, সেখানকার লোকাল পুলিশ হেল্পলাইনটা জেনে নিন।
হানিমুন এ প্রিয়জনের জন্য নিজেকে সাজিয়ে তুলুন
হানিমুনে গিয়ে সবাই নিজেকে একটু অন্যভাবে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। প্রত্যেকেই চেষ্টা করেন। এর জন্য দরকার প্রোপার সাজগোজ। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। এতে ত্বক ভাল থাকবে। নিজেকে উজ্জ্বল দেখাতে চাইলে হালকা করে ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারেন। আর অবশ্যই নিজের স্কিন টোনের সঙ্গে ম্যাচ করে ফাউন্ডেশন লাগাবেন।
চোখে একটু মোটা করে আইলাইনার, মাস্কারা লাগিয়ে নিতে পারেন। এতে অনেক বেশি করে নিজেকে হাইলাইট করতে পারবেন। ঠোঁটে হালকা করে লিপগ্লস লাগিয়ে নিন। বাইরে বেরোনোর আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না।
আবার মেকআপ অবস্থায় একদম ঘুমাতে যাবেন না। রাতে ঘুমানোর সময় স্কিন রিমুভাল দিয়ে মেক আপ মুছে তারপর শোবেন। রাতের বেলা নাইট ক্রিম অবশ্যই লাগাবেন। আর যাদের ত্বক রুক্ষ প্রকৃতির তারা সবসময় ময়েশ্চারাইজার সঙ্গে রাখবেন।
হানিমুন এ যে কাজগুলো একেবারেই করা যাবে না
যেহেতু হানিমুন মাত্রই একদম আনকোরা নতুন একটা অভিজ্ঞতা, তাই কিছু ভুল করে ফেলেন কমবেশি সবাই। প্রথম হানিমুন এমন একটা জিনিস যে কাজে অভিজ্ঞতা অর্জনের কোন সুযোগ নেই। তাই জেনে রাখুন হানিমুন এ যে কাজগুলো একেবারেই করা যাবে না।
১. হানিমুন মানেই যৌন সম্পর্ক নয়। বরং নিরিবিলি একান্ত সময়ে পরস্পরকে জেনে ও বুঝে নেয়ার নামই হানিমুন। তাই হানিমুনে গিয়ে স্ত্রীকে শারীরীক সম্পর্কের জন্য পীড়াপীড়ি করবেন না। আবার পরস্পরের অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো নিয়েও আলোচনা করবেন না। অতীতে যা ছিল, সেটা অতীতেই থাকুক।
২. সারাক্ষণ শুধু হোটেলের রুমে বসে থাকবেন না। বরং স্ত্রীকে নিয়ে বাইরে বেড়ান, ছবি তুলুন, সুন্দর সময় কাটান। সদ্য মা-বাবা-পরিবারকে ছেড়ে এসে স্বভাবতই আপনার স্ত্রীর মন খারাপ লাগতে পারে। তাই চেষ্টা করুন স্ত্রীকে সময় দিতে, তার মন জয় করে নিতে। আপনার স্ত্রী যেন একাকীত্ব অনুভব না করে।
৩. একবারই তো হানিমুনে যাবেন, তাহলে কিপটামি করবেন কেন? বরং জীবনের এই অভিজ্ঞতাকে স্মরণীয় রাখতে সাধ্যের মাঝে সবটুকু খরচ করুন, টুকিটাকি শপিং করুন। আগে থেকেই শপিংয়ের একটা তালিকা করে নিন। এতে করে খুব বেশি খরচও থাকবে হাতের নাগালেই।
এখনকার দিনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার মতোই হানিমুনটাও কিন্তু বেশ গুরুত্বপূর্ণ। দেখা যায় অনেকে বিয়ের বাজেট কমিয়ে দেন শুধুমাত্র হাত খুলে হানিমুনটা শেষ করার জন্য। যাই হোক হানিমুনে রিল্যাক্স করতে একদমই ভুলবেন না। খেয়াল রাখবেন, আপনার হানিমুন যেন ক্লান্তিকরভাবে শেষ না হয়। হানিমুন এর প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করুন, যথাসম্ভব সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন।
কল করুনঃ+880-1407-004393 অথবা +88-01782-006615 এ।
আমাদের মেইল করুন taslima55bd@gmail.com
Wow, marvelous blog format! How lengthy have you been running a
blog for? you made running a blog look easy. The whole glance
of your website is wonderful, let alone the content!
You can see similar here sklep online
buy medicines online in india https://indiaph24.store/# world pharmacy india
indian pharmacy online
mexican border pharmacies shipping to usa: mexican pharmacy – mexico drug stores pharmacies
mexico pharmacies prescription drugs: Mexican Pharmacy Online – mexico pharmacies prescription drugs
hello there and thank you for your info – I have certainly picked
up something new from right here. I did however expertise some technical points using this site,
since I experienced to reload the web site many times previous to I could get it
to load correctly. I had been wondering if your hosting is OK?
Not that I am complaining, but sluggish loading instances times will often affect your placement in google and could damage
your quality score if ads and marketing with Adwords. Well
I’m adding this RSS to my email and can look out for a lot more of your
respective interesting content. Make sure you update this again very soon..
Escape room
Very interesting information!Perfect just what I was searching for!!
I’m impressed, I must say. Seldom do I come across a blog that’s both educative and entertaining, and let me tell you, you’ve hit the nail on the head. The problem is something which too few folks are speaking intelligently about. I’m very happy I found this in my search for something concerning this.
Thanks for sharing. I read many of your blog posts, cool, your blog is very good.
Hi there! This article could not be written any better! Reading through this article reminds me of my previous roommate! He constantly kept preaching about this. I am going to send this article to him. Pretty sure he’s going to have a good read. I appreciate you for sharing!
I wanted to thank you for this good read!! I absolutely loved every little bit of it. I’ve got you saved as a favorite to check out new stuff you post…
I’m amazed, I have to admit. Seldom do I encounter a blog that’s both equally educative and engaging, and let me tell you, you’ve hit the nail on the head. The issue is something too few men and women are speaking intelligently about. Now i’m very happy that I found this during my search for something relating to this.
Good post. I learn something new and challenging on websites I stumbleupon on a daily basis. It’s always interesting to read articles from other authors and practice something from other websites.
Good day! I could have sworn I’ve been to this website before but after browsing through some of the articles I realized it’s new to me. Nonetheless, I’m definitely happy I stumbled upon it and I’ll be bookmarking it and checking back frequently.
An outstanding share! I have just forwarded this onto a co-worker who had been conducting a little research on this. And he in fact ordered me dinner simply because I found it for him… lol. So let me reword this…. Thank YOU for the meal!! But yeah, thanx for spending the time to talk about this subject here on your site.
Way cool! Some extremely valid points! I appreciate you penning this article and also the rest of the website is very good.
Greetings! Very helpful advice in this particular article! It’s the little changes that make the biggest changes. Thanks for sharing!
I love it whenever people come together and share views. Great site, continue the good work!
I really like it when people get together and share opinions. Great blog, continue the good work.
Hello there! This blog post could not be written any better! Reading through this post reminds me of my previous roommate! He always kept preaching about this. I’ll send this article to him. Fairly certain he will have a great read. Thanks for sharing!
You ought to take part in a contest for one of the highest quality sites online. I am going to highly recommend this web site!
May I simply just say what a comfort to find someone who actually knows what they’re talking about online. You actually understand how to bring an issue to light and make it important. A lot more people really need to look at this and understand this side of your story. I can’t believe you aren’t more popular because you certainly possess the gift.
Greetings, I think your web site could be having web browser compatibility issues. Whenever I look at your site in Safari, it looks fine however, if opening in Internet Explorer, it has some overlapping issues. I just wanted to provide you with a quick heads up! Besides that, wonderful blog.
Understanding renal physiology and loop diuretic pharmacology is key to successful diuretic therapy priligy results However, the tasks of the second and fourth regiments are inconvenient, so I stay in the rear to serve as the division s reserve team, and seize the time to train the newly replenished recruits I have always paid attention to promoting military democracy, so how fast does Lasix lower blood pressure when I heard Pugachev, the acting head of the Thomas Kucera have something to say, I nodded and let him speak freely Comrade Pugachev, what do you want to say
I really like it whenever people get together and share opinions. Great blog, keep it up!
Good post. I learn something new and challenging on blogs I stumbleupon every day. It will always be helpful to read through content from other authors and use a little something from other sites.
I really like it when people get together and share views. Great site, stick with it.
Pretty! This was an incredibly wonderful post. Many thanks for supplying these details.
Having read this I believed it was rather informative. I appreciate you taking the time and effort to put this article together. I once again find myself spending a significant amount of time both reading and posting comments. But so what, it was still worth it.